বাসস
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:২৮

সিলেটের পতিত জমিতে শিম চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব : কর্মশালায় বক্তারা

রোববার সিলেটে কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : ‘বৃহত্তর সিলেটে নিট ফসলী জমির পরিমাণ ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪০ হেক্টর। অথচ রবি মৌসুমে শতকরা ১৮ ভাগ, খরিফ-১ মৌসুমে শতকরা ১৯ ভাগ এবং খরিফ-২ মৌসুমে শতকরা ৬ ভাগ জমি পতিত থাকে।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ এক কর্মশালায় এই তথ্য জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘এইসব জমিতে স্বল্পমেয়াদী গ্রীষ্মকালীন শিমসহ ঝাড়শিম, বরবটি চাষ করলে জমি অনাবাদী থাকবে না। বরং সবজি উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি অনুষদে ‘প্রজেক্ট কমপ্লিশন ওয়ার্কশপ’-এ এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিকৃবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

শিমচাষ বিষয়ক এই প্রজেক্টের গুরুত্ব তুলে ধরে ভিসি বলেন, ‘শিম হল উচ্চ প্রোটিন ও কম ক্যালরি সমৃদ্ধ সবজি ফসল। এই সবজিতে প্রোটিনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। শিম চাষের মাধ্যমে জমির উর্বরতাও বাড়ে।’

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের উপস্থাপনায় ও সিকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুব ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, কেজিএফ’এর উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ক উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ ড. নাজিরুল ইসলাম এবং জাপানের আইওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবিদুর রহমান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম।

কর্মশালায় সিকৃবির বিভিন্ন বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কৃষকরা অংশ নেন।