শিরোনাম
লালমনিরহাট, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): জেলায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিয়ে হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে জেলার বাসিন্দারা। সকাল থেকে কুয়াশা তেমন না থাকলেও কনকনে শীতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তথ্যটি বাসস'কে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার পর থেকে সূর্য উঠতে দেখা গেছে। তবে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গত দুই দিন থেকে সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে শুরু করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতও বাড়তে থাকে।
এদিকে, এই শীতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্নআয়ের ও কৃষিজীবী মানুষদের। জীবিকার তাগিদে সকাল হলেই এসব মানুষ মোটা কাপড় পরে সাইকেল অথবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। এছাড়াও জেলায় এখন বোরো ধান রোপণের মৌসুম চলছে। শীতের কারণে ধান রোপণে কিছুটা কষ্টসাধ্য হচ্ছে কৃষকদের।
সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক আজিজার রহমান বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে সামান্য সময়ের জন্য রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। তবে কৃষি কাজের জন্য সকালে জমিতে নামা যাচ্ছে না ঠাণ্ডার কারণে। পানিতে পা দিলে মনে হয় হাত-পা বরফের মতো ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। আর এখন ধান লাগানোর কাজ চলছে। এই ঠাণ্ডায় সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কাজে নামা যায় না।
বড়বাড়ী শিমুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার রিকশাচালক মনসুর আলী বলেন, আজকে সকাল থেকে কুয়াশা কম। তবে বাতাস হচ্ছে। এই কারণে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে। বিকালের পর থেকে আরও বেশি শীত পড়ে। তখন রিকশা চালানো খুব সমস্যা হয়ে পড়ে।
এদিকে, শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।