বাসস
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩০

সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচিতে বায়োফরটিফাইড শস্যের অন্তর্ভুক্তির প্রতি গুরুত্বারোপ

রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে ইএনএফএস প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

রংপুর, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বিশেষজ্ঞরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও নীতিমালায় বায়োফরটিফাইড শস্যের উৎপাদন, বিপণন এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার এক আঞ্চলিক কর্মশালায় তারা অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীর জিঙ্কের ঘাটতি কমাতে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ভোক্তা বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় রেখে চাষের জন্য উপযুক্ত আরও বায়োফরটিফাইড শস্যের জাত উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছেন।

আর্ন্তজাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই)-এর হারভেস্টপ্লাস প্রোগ্রামের এক্সপান্ডিং নিউট্রিয়েন্ট ইন ফুড সিস্টেমস (ইএনএফএস) প্রকল্পের আওতায় নীতিনির্ধারক এবং অংশীদারদের অংশগ্রহণে রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই)) অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কানাডা সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ইএনএফএস প্রকল্পটি লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী এবং দিনাজপুর জেলায় বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস, নাজির ও নিউট্রিশিয়াস এগ্রিকালচার বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। হার্ভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রণ মসুরের সম্প্রসারণ এবং অভিযোজনে কাজ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নারী, কিশোরী মেয়ে এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি নিরাপত্তা এবং জীবিকা উন্নত করা।

হারভেস্টপ্লাস, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফর্টিফাইড খাদ্য শস্যের বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফর্টিফিকেশন প্রমাণ এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে।

ডিএই-এর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল এবং দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান যথাক্রমে কর্মশালার উদ্বোধনী এবং প্রযুক্তিগত অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

হার্ভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. ওয়াহিদুল আমিন অতিথিদের স্বাগত জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিভাগ, হার্ভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী অংশীদার এনজিও, মিলার, বীজ ডিলার, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং জিংক রাইস বাণিজ্যিক উৎপাদনকারীদের পঞ্চাশজন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কারিগরি অধিবেশনে হার্ভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী বীজ ব্যবস্থা ও বিপণন মো. মজিবর রহমান কর্মশালায় 'পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য বায়োফরটিফাইড খাদ্যের ভূমিকা' শীর্ষক মূল বক্তৃতা করেন।
অংশ্রহণকারীরা 'স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মসূচিতে বায়োফরটিফাইড শস্যের সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তি' শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং বায়োফরটিফাইড শস্যের চাষ, উৎপাদন, বিপণন এবং ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

রংপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. বেলাল উদ্দিন, রংপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন এবং হার্ভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. ওয়াহিদুল আমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে কারিগরি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।

কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীর জিংকের ঘাটতি কমাতে ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-১০০ এবং ব্রি ধান-১০২-এর মতো জিংক সমৃদ্ধ বায়োফরটিফাইড ধানের চাষ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।