শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): শ্রম আইন সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত ত্রিপক্ষীয় আইন সংস্কার কমিটি (টিএলআরসি) শ্রম আইন-২০০৬-এর সুপারিশকৃত ১০১টি সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে ৭৯টিতে সব পক্ষ একমত হয়েছে। বাকি ২২টি সুপারিশের বিষয়ে একমত হতে পারেনি।
আজ বিজয় নগরের শ্রম ভবনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) টেকনিক্যাল লিগ্যাল টিমের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
সভায় টিএলআরসি কমিটির ৮২তম বৈঠকে অমীমাংসিত শ্রম আইনের ২২টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সরকারপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ এই ২২টি প্রস্তাবের বিষয় বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হবে বলে শ্রম সচিব সফিকুজ্জামান বাসসকে জানিয়েছেন।
মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মোহাম্মদ হাতেম বাসসকে বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন করার লক্ষ্যে সরকার, মালিক ও শ্রমিকপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আইএলও’র সম্মেলন অনুষ্ঠানের আগে বাংলাদেশের শ্রম আইন-২০০৬ অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। মালিকপক্ষ থেকে ১০১টি সুপারিশের বিপরীতে লিখিত মতামত প্রদান করেছে। কোন বিষয়ে শ্রমিক ও মালিক একমত হতে না পারলে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। শ্রমিকের সংজ্ঞা, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার এবং ভবিষ্যত তহবিল গঠন নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। আলোচনা করে এ বিষয়ে শিগগিরই আমরা একমত হতে পারবো বলে আশা করছি।
শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী জানান, শ্রম আইন সংশোধনের লক্ষ্যে শ্রমিকপক্ষ থেকে ১০১টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৯টির বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মালিকপক্ষ থেকে ১০১টি সুপারিশের বিপরীতে লিখিত মতামত প্রদান করেছে। সরকারপক্ষের মধ্যে এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ লিখিত মতামত পাওয়া গেছে। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)র বৈঠকের আগে শ্রমিক পক্ষের শীর্ষ ফোরাম শ্রম আইনের সব প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।