শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের লিজ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্টেডিয়ামের সামনে ‘চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংহতি জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র, স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে লিজ দেয়া ও সিজেকেএসের এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক ক্রীড়া কর্মকর্তা, সাবেক খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, কোচ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং ফ্যাসিবাদের পর এখন আরেকটি গোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে দখল করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী, ফ্যাসিবাদীরা এতদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়েছে, খেলোয়াড়দের তারা কুক্ষিগত করেছে। আবারও আমরা দেখছি, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী এসব করতে চাচ্ছে। এটা কখনো চট্টগ্রামের আপামর জনতা, জনসাধারণ, ক্রীড়ামোদী, ক্রীড়া সংগঠকেরা মেনে নিবে না।
স্টেডিয়ামের লিজ বাতিলের দাবি জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম চট্টগ্রামের খেলোয়াড় তৈরির জন্য একটা ফ্যাক্টরি হিসেবে কাজ করেছে। এই মাঠ থেকে বাংলাদেশের বরেণ্য ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান এবং তামিম ইকবালদের মতো বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কদের জন্ম হয়েছে।
ফুটবলে আশিশ ভদ্র, দিপু, এফআই কামাল, মামুন, নাজিমসহ অনেকেই এ চট্টগ্রাম থেকে হাতেখড়ি হয়েছে, এই স্টেডিয়াম থেকে।
সিজিকেএসের ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবলসহ ৪৩টি ইভেন্ট স্টেডিয়ামে পরিচালিত হয়। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই আমরা দেখতে পেয়েছি একদিন সকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র।
ক্রীড়া পরিষদকে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে জানিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে এ মাঠটি শুধুমাত্র চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের জন্যই ব্যবহৃত হবে। শুধু রেময়র নয় চট্টগ্রামের একজন নাগরিক হিসেবে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কখনো আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারি না। এটা চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে একটা বৈষম্যের সিদ্ধান্ত।
সিজিকেএসে এডহক কমিটির কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যে এডহক কমিটি হয়েছে সিজিকেএসের। সেখানে কোন খেলোয়াড়, কোচ কিংবা সিজেকেএসের কোনো কর্মকর্তার নাম আমরা দেখছি না, এটা আমাদের অবাক করেছে। কারণ ৪৩টি ইভেন্ট পরিচালনা করার তাদের আদৌ দক্ষতা আছে কিনা আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিয়াজ মো. খান, ইসমাইল বালি, ক্রীড়া সংগঠক ইস্কান্দার মির্জা, মশিউল আলম স্বপন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজে’র সভাপতি মো. শাহ নওয়াজ, সিজেকেএস'র সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, হাফিজুর রহমান, সৈয়দ আবুল বশর, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।