বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৩

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন 

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ছবি: বাসস

লালমনিরহাট, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। গত কয়েকদিন ধরে গভীর রাত থেকে কুয়াশার মোড়ানো পথঘাট। 

এতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে সব ধরনের যানবাহন। 

আজ সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়াসহ হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা।

প্রচণ্ড শীতে গ্রামে বসবাসরত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। একটু গরমের আশায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে, ফুটপাত ও স্টেশনে বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে ভুগছে। অনেকেই পরিবারের আয়- রোজগারের কথা ভেবে শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে দেরিতে হলেও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

জেলা সদরের বড়বাড়ী শিমুলতলায় সকাল ১০ টায় কথা হয় পিকআপ চালক খাইরুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তাঘাট। ১০- ১৫ ফুট দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না।

ধীর গতিতে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছি। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিদিন, এজন্য সর্তকতার সঙ্গে ধীরে ধীরে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি গন্তব্যে। 

একই এলাকার দিনমজুর সোলেমান হক (৪৭) বাসস’কে জানান, কয়েকদিন ধরেই কুয়াশা ও শীতের সঙ্গে ঠান্ডা বেশি। বিশেষ করে তিনদিন ধরে সকালে সূর্য ওঠার আগ মুহূর্তে ও রাতে ঠান্ডা বেশি লাগে। যার কারণে সকাল সকাল কাজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে, জেলার পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে বেড়ে চলেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। 

নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে আমাদের।