শিরোনাম
রংপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : তীব্র শীত ও কুয়াশায় জবুথবু রংপুরের জনজীবন। গত চার দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা পরের দিন বেলা ১২টা নাগাদও কাটে না। সূর্যের দেখা মেলে দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত।
এই তীব্র শীতে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। বাহিরে বের হওয়া মানুষের শরীরে উঠছে কয়েক স্তরের মোটা কাপড়। বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা । হাড়ঁকাপানো শীতে মাঠে-ঘাটে যেতে পারছে না শ্রমজীবি মানুষ। শৈত্যপ্রবাহে নাকাল জেলাবাসী ।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ গবাদি পশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। এমন ঠাণ্ডায় জ্বর সর্দি কাশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা।
শহরের সিটি বাজারের শ্রমিক সিপন বলেন, ভোরে কাজে বের হতে হয়। কিন্তু হিমেল বাতাসে হাত-পা জমে যায়। কয়েকটা পুরনো কাপড় পরে কোনো রকমে কাজ করি। শরীর ঠিক রাখতে হলে তো খাবারও দরকার, কিন্তু ঠাণ্ডায় কাজ কম থাকলে উপার্জনও কম হয়।
শহরের রিকশাচালক জসিম বলেন, সকালবেলা বের হলে কুয়াশায় ভিজে যাই। ঠাণ্ডায় এত কষ্ট যে রিকশা চালানো যায় না। কিন্তু কাজ না করলে পেট চলবে কীভাবে।
শুধু শ্রমজীবী নয়, বস্তিতে থাকা ছিন্নমূল মানুষদের অবস্থাও আরো করুণ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তারা একেবারেই বিপর্যস্ত। এক ছিন্নমূল বাসিন্দারা বলেন, একটা কম্বল আছে, সেটা দিয়েই কোনোরকম রাত কাটাই। শীতে তো বাচ্চারা কাঁপতে থাকে।
জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল জানান, ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিতরণ করা শীতবস্ত্র পর্যাপ্ত নয়।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বাসস কে জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।