শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সেবা প্রদানে হয়রানি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে হাসপাতালে রোগীদের সেবা প্রদানে বিভিন্নভাবে হয়রানি, যথাসময়ে খাবার সরবরাহ না করা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। এছাড়াও টিম দেখতে পায় ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণ অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর, অবহেলাজনিত কারণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে রয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেন। দুদক টিম ২০২২-২৩ অর্থবছরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবন এক্সটেনশন ও আইসিইউ ইউনিট স্থাপন প্রকল্প সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
এদিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মঞ্জুরিকৃত সিলেকশন গ্রেড ও উচ্চতর গ্রেডের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে যুক্ত মোট ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালতে দায়েরকৃত রিট-এর আদেশ অনুযায়ী রাজস্ব খাতভুক্ত হন। টিমের নিকট পরিলক্ষিত হয় যে অভিযোগকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিকৃত ও প্রাপ্য সিলেকশন গ্রেডের ভাতাদি প্রদান না করে তাদের আবেদনসমূহ অধিকতর যাচাইয়ের জন্য বিবেচ্য মর্মে অনুমোদন করা হয়নি। তবে একই সময়ে সিলেকশন গ্রেডের ভাতার প্রাপ্যতা অনুযায়ী অপর এক কর্মকর্তার ভাতাদি রাজস্ব বাজেট থেকে পরিশোধ করা হয় মর্মে টিম তথ্যাদি যাচাইয়ে প্রত্যক্ষ করে।
এক্ষেত্রে অনিয়ম, হয়রানি বা অনৈতিক লেনদেন হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি জমি দখল করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূবর্ক ব্যক্তি মালিকানাধীন কলেজ নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রাক্কালে অভিযোগে বর্ণিত মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়।
পরবর্তীতে ওই কলেজের দলিল, পর্চা, খতিয়ানসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলা হয়।