শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশকে সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাজ্য।
অন্তর্বর্তী সরকার এবং মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে আজ ঢাকায় পৌঁছে এ কথা বলেন যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার দূত ইলেনর স্যান্ডার্স। ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
স্যান্ডার্স বলেন,‘আমার এ সফরের মধ্য দিয়ে দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা এবং শ্রম অধিকারের মতো অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও জোরদার করার আশা করছি।’
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য টেকসই, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যা মানবাধিকারের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির ভিত্তি মজবুত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বাংলাদেশের সাথে আমরা আমাদের বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে সুসংহত করব।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, এ সফর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের গভীর বন্ধুত্ব ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতির আরেকটি দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশে তার তিন দিনের সফরে মানবাধিকার দূত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ক একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
সেমিনারে মানবাধিকার দূত স্যান্ডার্স এবং শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণসহ মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে খাদ্য বিতরণ, নারী স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম এবং এলপিজি বিতরণসহ পরিচালিত প্রকল্প পরিদর্শনে কক্সবাজার সফর করবেন।
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার দূত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে জবাবদিহিতা জোরদার করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার (ওএইচসিএইচআর) অফিসের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন তহবিল ঘোষণা করবেন।
ব্রিটিশ হাই কমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার জোরদার ও সুরক্ষায় যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যুক্তরাজ্য আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডাকে সমর্থন করেছে।