শিরোনাম
ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ (বাসস): উচ্চশিক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানের কারিকুলাম সংস্কার এবং বেকারত্ব দূরীকরণে আইসিটি নির্ভর কর্মমুখী শিক্ষার ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিটি ডিভিশনের মাঝে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
এ আলোচনাকালে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসকে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) এ পরিবর্তন করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ'র সভাপতিত্বে সেমিনারের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি এডভাইজার (সমন্বয় ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
উপাচার্য বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষার বাইরে কোনো বিকল্প এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। যেখানে মান্ধাতার আমলের সিলেবাস দিয়ে বিগত দশকগুলোতে রাষ্ট্রযন্ত্র কেবল শিক্ষিত বেকার তৈরি করে এসেছে, যেখানে কর্মমুখী শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, “যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার অভিভাবকত্ব করছে, সেহেতু তাঁর প্রশাসন এবং তাদের নেয়া সিদ্ধান্তের উপর প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আর এজন্যই বেকারত্ব নিরসনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি নির্ভর ও আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষার্থী তৈরি করতে এবং তাদের কাজের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারের নীতিনির্ধারনী গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য বলেন, ‘কারিকুলাম এবং সিলেবাসগুলোকে অবশ্যই যৌক্তিক ও প্রায়োগিক হতে হবে যেন পাশ করে বের হওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষার্থীরা এর আউটকাম উপলব্ধি করতে পারে। তা না হলে কেবল সার্টিফিকেট নিয়ে পাস করে বেকারত্বের সমাধান করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, প্রয়োজন অনুসারে ধারাবাহিক আইসিটি চর্চাকে মূল সিলেবাসের সাথে সংমিশ্রন ঘটাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন লেভেল নির্ধারণ করে আইসিটি শিক্ষা প্রদানের ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ করেন। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল ধরণের সহযোগিতা নিশ্চিত করার ও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে সবকিছুই আধুনিকতার দিকে যাচ্ছে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আইসিটি শিক্ষা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন ও রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং এটুআই এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।