শিরোনাম
সিলেট, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, অবসরকালে সাংবাদিকদের দেখভালের দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রবীণ সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতার আওতায় আনার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের কল্যাণে অনুদান এবং সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তির চেক বিতরণ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার মো. আকিকুর রেজা, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহম্মদ বদরুদ্দোজা বদর।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। এসবের মধ্যেই যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগ করেছেন তারাই সত্যিকারের সাংবাদিক।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর ফলে সাংবাদিকদের পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে। প্রবীণ সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতার আওতায় আনার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সাংবাদিকদের ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থা, মফস্বলে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, ভুঁইফোঁড় সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সামর্থ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সব দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ট্রাস্টের ভবন ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি নির্মাণের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সভায় সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিসউন নূর, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক, বাসসের সিলেট ব্যুরো প্রধান সেলিম আউয়াল, সিনিয়র সাংবাদিক আমজাদ হোসেন, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ও আব্দুল কাদির তাপাদার বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সিলেটের সাতজন অসুস্থ অসচ্ছল সাংবাদিককে অনুদানের চেক এবং দশজন সাংবাদিকের মেধাবী সন্তানদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়।