বাসস
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৩
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৯

মায়ের ওপর বড় কোন শেফ (রাঁধুনি) নাই : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার -ছবি : বাসস

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অনেক শেফের কথা বলা হলেও আমি কিন্তু মনে করি প্রতিটি বাড়িতে এক একজন শ্রেষ্ঠ শেফ (রাঁধুনি) রয়েছে। তিনি হলেন আমাদের মা। 

মায়ের ওপর বড় কোন শেফ হয়? প্রশ্ন করে তিনি বলেন, অনেক সময় বিজ্ঞাপনে যখন দেখানো হয় মায়ের রান্নার মত স্বাদ, মায়ের রান্না যখন পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে তখন তা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

আজ বিকেলে রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের  উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক বাংলার ভোজ বাংলাদেশি  ঐতিহ্যবাহী খাবার উৎসব "বাংলাদেশ সেফ সম্মেলনে" প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফরিদা আখতার এ কথা বলেন। 

সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দেশীয় খাবারকে সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আমাদের কাছে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, আর নতুন দেশে তরুণরা আমাদের পথ দেখিয়েছে। এই তরুণদের সাথে দেশীয় খাবারের পরিচয় করে দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন,  আগামী প্রজন্ম যদি দেশীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত না হয়, তখন মনে হবে তরুণরা দেশে থেকেও যেন দেশে নাই। তাই দেশীয় খাবারের প্রতি সন্তানদের আগ্রহ সৃষ্টি করার দায়িত্ব প্রতিটি অভিভাবকের। 

ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, শেফ বলে নারীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে। ঘরে রান্না করলে রাধুনি আর ড্রেস পরে রান্না করলে শেফ বলা হয়। এই যে পার্থক্য তা আমাদের দূর করতে হবে। 

শেফদের শিল্পীর মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শেফ একেকজন শিল্পী। তাদের নিজস্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ফলে রান্নার বৈচিত্র্য দেখা যায়। তাই তারা শিল্পীর মর্যাদা প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখে।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের।

স্বাগত বক্তৃতা করেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল শাহিদ হোসেন শামীম। 

পরে উপদেষ্টা ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যন্ড রিসোর্ট, লা মেরিডিয়ান, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ক্রাউন প্লাজা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, ওয়েস্টিন, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ও সিক্স সিজনস হোটেলের এক্সিকিউটিভ শেফদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

কোন এলাকায় কোন খাবার জনপ্রিয়, স্বাদই বা কেমন- এমন সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে ঢাকার বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে। 

সত্তরটি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইলিশ মাছ, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচম, ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাইসহ নানাবিধ দেশি খাবার ও পাহাড়ি খাবারের প্রদর্শনী, বিপণন ও উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়।