শিরোনাম
রংপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ( বাসস) : রংপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি তুলার কারখানাসহ চারটি ওষুধের দোকান পুড়ে গেছে। নগরীর বুড়িহাট বাজারে হবিবার রহমান হবি (৭৫) এর তুলার কারখানা ও এর পার্শ্ববর্তী ৪টি ঔষধের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ড হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুলার কারখানার পাশে একটি ৪ তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। সেখানে ক্রাং এর মাধ্যমে নিচ থেকে নির্মাণ সামগ্রী ছাদে তোলার সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে ক্রাংটি বেঁধে গেলে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর পাশে থাকা তুলার কারখানাটিতে আগুন লেগে যায়।
বুড়িরহাট বাজারের হোমিও চিকিৎসক আবদুল হাকিম বলেন, আমরা দেখছিলাম একটি বালুর ট্রাক থেকে ক্রাং দিয়ে ছাঁদের উপরে বালু তোলা হচ্ছে। এমন সময় ক্রাংটি পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সাথে আটকে যায়। তাৎক্ষণিক সেখানে আগুন লেগে যায়। সাথে সাথে পাশের তুলার কারখানাটি থেকে বিকট শব্দ হয়ে ধোঁয়া ওঠা শুরু হয় এবং সেখান থেকে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আমরা উপায় না দেখে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট এসে প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
কারখানা মালিকের ছেলে মাসুদ বলেন, কারখানাটিতে প্রায় সব মিলে ৪০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো। সব কিছু পুড়ে গেছে। আমরা এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন আগুন নিভাচ্ছে। এখন শুধু ছাই ছাড়া আর কিছুই নাই।
গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং আগুনের ধরন দেখে পাশে রংপুর সদরের ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চাই। তারাও দ্রুত সেখানে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই। তবে আগুন কিভাবে লাগলো এবং কতো টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। যেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে কোন কিছু কেউ নিয়ে যেতে না পারে।