বাসস
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৭

অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামো বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব

ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামো বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের দ্বাদশ নম্বরে রয়েছে আদালতের বিকেন্দ্রিকরণ সংক্রান্ত অংশটি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামো বিষয়ে প্রস্তাবে বলা হয়েছে-ভবন নির্মিত হয়নি এমন ৩৭টি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভবন নির্মাণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রকল্পের সুপারিশের ভিত্তিতে যেসব ক্ষেত্রে ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে-বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় যে ২৩টি জেলায় এখনো ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি সেগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণ, যে ৫ জেলায় অদ্যাবধি জমি অধিগ্রহণ হয়নি সেগুলোর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করা। দেশের ২০টি জেলার আওতাধীন ৩৪টি উপজেলায় অবস্থিত ৫১টি চৌকি আদালতের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ। জেলা জজ আদালতের আওতাধীন ৬৬টি এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন ৬৪টি আদালতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এজলাস নির্মাণ করা।

প্রস্তাবে বলা হয়, মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহের জন্য পৃথক আদালত ভবন স্থাপন। আদালতের নেজারত, রেকর্ডরুম, নকলখানা, মালখানা ও জিআরও শাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কক্ষ ও প্রশস্তজায়গার ব্যবস্থা করা। বিচারকদের আবাসনের জন্য জেলা পর্যায়ে পৃথক জুডিসিয়াল কমপ্লেক্স স্থাপন করা। প্রতিটি আদালত প্রাঙ্গণে সাক্ষীদের অপেক্ষার জায়গা নির্ধারণ এবং এজলাসে বসার ব্যবস্থা করা। আদালতের হাজতে (পুরুষ ও মহিলা) হাজতিদের বসার ব্যবস্থা করা। প্রতিটি আদালত প্রাঙ্গনে নারী ও শিশুদের জন্য উপযোগী শৌচাগার ও অপেক্ষাগার স্থাপন করা। কোন এজলাসে আসামীদের জন্য এখনো লোহার খাঁচা থেকে থাকলে তা অপসারণ করা। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে আদালত ভবনের নিচতলায় ‘তথ্য ডেস্ক’ স্থাপন করা।