বাসস
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১

আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব

ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : আদালত ব্যবস্থাপনা সুপ্রিম কোর্ট বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ত্রয়োদশ নম্বরে রয়েছে আদালত ব্যবস্থাপনা সুপ্রিম কোর্ট সংক্রান্ত অংশটি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আদালত ব্যবস্থাপনা সুপ্রিম কোট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং বিশেষ করে আপিল বিভাগে সকল সময় ন্যূনতম ৩টি বেঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করা। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মামলার নোটিশ জারি ও শুনানির জন্য প্রস্ততকরণ নিশ্চিত করার জন্য ডাক বিভাগের সাথে যৌথ আয়োজনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ত্রিশ দিনের মধ্যে নোটিশ ফেরদত আসা নিশ্চিত করা। অনলাইনে মেনশন—স্লিপ জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যাতে এ কারণে আইনজীবীদের ও আদালতের সময় নষ্ট না হয় এবং আদালতের কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি পায়। 

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগে মামলা নিবন্ধনে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ। বেঞ্চ পুনর্গঠন বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন, যাতে করে বেঞ্চ পুনর্গঠনের আগে সংশ্লিষ্ট বিচারক বা বিচারকদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের আগেই অবহিত করা যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের এখতিয়ারে পরিবর্তন আনা, যাতে সুনির্দিষ্ট ও অতি জরুরি বিষয় ছাড়া স্থগিতাদেশের আবেদন নিয়মিত বেঞ্চ থেকে নিষ্পত্তি হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব পোর্টালের ব্যবহার সম্প্রসারণ করে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের প্রত্যেকটি আদেশ ও রায়ের ইলেকট্রনিক কপি অনলাইনে প্রাপ্তিযোগ্য করা। হাইকোর্টের মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম নিশ্চিত করা। আপিল বিভাগে আইনজীবী নিবন্ধনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা। প্রযোজ্য বিধিমালা, নির্দেশনা ইত্যাদি সমন্বয়ে বাংলায় ম্যানুয়াল প্রকাশ। 

প্রস্তাবে অধঃস্তন আদালত বিষয়ে বলা হয়েছে,  প্রকাশ্য আদালতে রায় ও আদেশ ঘোষণা এবং প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ওয়েব সাইটে ওই রায় বা আদেশের কপি আপলোড করা। শতভাগ ক্ষেত্রে সরকারী কর্মচারীদের সাক্ষ্য সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুসারে অনলাইনে গ্রহণ। সমন জারি কার্যকর করার জন্য পোস্টাল এ্যাক্ট এর সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন। দেশের প্রতিটি আদালতে প্রোগ্রামারসহ অন্যান্য আইটি স্পেশালিস্ট এর পদ সৃজন এবং ওই পদে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান। আদালতে জুডিশিয়াল এডমিনিষ্ট্রেটিভ অফিসারের পদ সৃষ্টি। আদালতের রেজিস্ট্রারসমূহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ। সিকিউরিটি/মার্শাল সার্ভিস এর প্রচলনের প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।