বাসস
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩৭

ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

শনিবার মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি : বাসস

কক্সবাজার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্ত সড়ক ও স্থল বন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সীমান্ত সড়ক এবং সম্ভাব্য স্থল বন্দর নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করেছি। এটি নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে সেখানে একটি স্থল বন্দর করা যায় কি না তা বিবেচনায় রাখা হবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি স্থল বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথ সুবিধাজনক। ঘুমধুমের এশিয়ান ট্রান্সরোডটি দ’ুদেশের জন্য সহজ যোগাযোগের পথ। টেকনাফে আমাদের একটি বন্দর রয়েছে। সেখানে কিছু পণ্য আমদানি হলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা সমাধান হবে।’

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, টেকনাফ বন্দরকে স্থলবন্দর বলা হলেও এটি মূলত নৌবন্দরের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে এটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর বা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে উন্নত হতে পারে। তবে ঘুমধুম এলাকায় একটি স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়ামিন হোসেন, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।