শিরোনাম
মো. মামুন ইসলাম
রংপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): নিজস্ব উদ্যোগে কফি চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং এলাকায় জনপ্রিয়করণে সাফল্যের পর উচ্চশিক্ষিত সফল তরুণ উদ্যোক্তা মো. মোখলেসুর রহমান এখন বাংলাদেশকে কফি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখেন।
২০১৫ সালে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সফল কফি চাষের একটি ফেসবুক ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার উপজেলার সমতল ভূমিতে এই উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবেন।
এক পর্যায়ে ৩৮ বছর বয়সী এই তরুণ ২০১৭ সালে কফি চাষ শুরু করে ইতোমধ্যেই এই উদ্যোগ থেকে ভালো মুনাফা অর্জন করে উত্তরাঞ্চল জুড়ে কফি চাষ জনপ্রিয় করে তার প্রচেষ্টাকে সফল করেছেন।
এই সাফল্যের গল্পের শুরু হয় মোখলেসুরের জন্মস্থান রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম গোয়ালবাড়ি থেকে। চারিদিকে সবুজে ঘেরা গ্রামটি তারাগঞ্জ শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে তারাগঞ্জ-লালদিঘি-বদরগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত।
প্রতিদিন অনেক মানুষ রাস্তার ধারে অবস্থিত ছোট কফি বাগানে যান। সেখানে মোখলেসুরের মাত্র ২০ শতাংশ কৃষি জমিতে সাড়ে চারশ’টি কফি গাছ রয়েছে। তারা বাগানের চারপাশের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
ছাত্র-শিক্ষক, সেনা কর্মকর্তা এবং বিদেশীসহ দর্শনার্থীরা মোখলেসুরের বাগানের পাশে 'রংপুর কফি ক্লাব' নামে তার দোকানে আনন্দের সাথে বিভিন্ন স্বাদের কফি পান করেন।
কফি চাষ, প্রক্রিয়াজাত ও কফি বাজারজাতকরণ এবং ভালো মুনাফা অর্জন করে সুনাম অর্জন করলেও মোখলেসুরের মনে এখন একমাত্র চিন্তা হল দেশে কফি আমদানি কমানো এবং স্থানীয়ভাবে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন কফি উৎপাদনে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।
সম্প্রতি গোয়ালবাড়ি গ্রামে তার কফি বাগানে বাসস’র সাথে আলাপকালে মোখলেসুর বলেন, পরিবারে তিনি তার বাবা-মায়ের চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয়। তার কোন বোন নেই।
তার বাবা মো. মাহবুবুর রহমান (৬৬), গত ২০২২ সালে একই উপজেলার ভীমপুর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
মোখলেসুরের বাবা তার সাত একর জমিতে বিভিন্নরকম ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষ দেখাশোনা করেন। তার মা মোছা. মোতাহারা বেগম (৬০), একজন গৃহিণী।
একটি সচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণকারী মোখলেসুর ২০০১ সালে দাখিল পরীক্ষা, ২০০৩ সালে আলিম পরীক্ষা, ২০১০ সালে স্নাতক (বিএ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০১৪ সালে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরবর্তীতে তিনি বেসরকারী আরএফএল কোম্পানিতে শোরম এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি ২০১৫ সালে প্রথমে রংপুর, লালমনিরহাট এবং পরে কুমিলল্লায় কোম্পানির আউটলেটে শোরুম এক্সিকিউটিভ হিসেবে পোস্টিং পান।
২০১৫ সালে কফি চাষে অনুপ্রাণিত হয়ে মোখলেসুর সারা দেশে কফি চাষকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য এক বছর সময় ব্যয় করেন। এভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর মোখলেসুর অ্যারাবিকা জাতের কফি চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৬ সালের শেষদিকে, মোখলেসুর নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার তার পূর্ব পরিচিত নার্সারি মালিক মো. আব্দুল কুদ্দুসের মাধ্যমে কক্সবাজারের একটি নার্সারি থেকে ৮শ’টি কফির চারা সংগ্রহ করেন।
মোখলেসুর চার মাস ধরে পরিচর্যা করে চারাগুলোকে রোপণের উপযোগী করে তোলেন।
তিনি বলেন, “পরে ২০১৭ সালের মে মাসে মাটিতে কাঁচা ফসফেট এবং পটাশ সার প্রয়োগের পর আমার পূর্বে প্রস্তুতকৃত জমির ৪২ শতাংশে ৮ শ’টি চারা রোপণ করা হয়।
তবে, ভুল করে চারা রোপনের সময় কাঁচা সার প্রয়োগের কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই সাড়ে তিনশ’টি চারা মারা যায়।”
বাকি সাড়ে চারশ’টি চারাগাছ দারুনভাবে বেড়ে ওঠে এবং ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো ফুল আসে।
মোখলেসুর বলেন, “প্রথমবারের মতো আমি ২০১৯ সালের নভেম্বরে ছয় কেজি গ্রিন কফি (কফি বিন) সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু, তখনো আমি জানতাম না কীভাবে এটি প্রক্রিয়াজাত করতে হয় বা কীভাবে এটি ভাজতে হয় অথবা পিষে উন্নতমানের কফি গুঁড়া তৈরি করতে হয়।”
তারপর, তিনি তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে অনলাইনে ব্যাপক অনুসন্ধান করেন।
এরপর তিনি নানারকম গৃহস্থালীর সরঞ্জাম এবং অনলাইনে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কফি বিনগুলো সঠিকভাবে ভেজে এবং পিষে উন্নত মানের গুঁড়ো কফি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, "আমি ঢাকার অ্যারাবিকা কফি শপ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, নর্থ এন্ড কফি রোস্টার্স এবং দোকান-ভিত্তিক ক্রয়কারী সংস্থাগুলোর মতো স্বনামধন্য ক্রেতাদের সাথে আমার প্রথমবারের মত উৎপাদিত কফি বিক্রি করার জন্য যোগাযোগ করেছিলাম।"
তবে তিনি তাদের কাছে তার উৎপাদিত কফি বিক্রি করতে ব্যর্থ হন। কারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মেসিনারিজ না থাকায় তিনি ক্রেতাদের শর্তাবলী মোতাবেক মান, আর্দ্রতা ও গুণসম্পন্ন গুঁড়ো কফি উৎপাদন এবং তাদের প্রয়োজনীয় পরিমাণ কফি সরবরাহের মত অবস্থায় পৌঁছাতে পারেননি।
এই সময়ের মধ্যে ২০২০ সালে একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রে মোখলেসুর রহমানের সফল কফি চাষ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন তিনি আরএফএল কোম্পানির দিনাজপুর শোরুমে কর্মরত ছিলেন। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় আরএফএল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাকে সেখানে চাকরিরত অবস্থায় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই উল্লেখ করে মোখলেসুরকে পদত্যাগ করতে বলে এবং অন্যথায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে জানায়।
মোখলেসুর এরপর কফি চাষ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন।
কফি চাষের অপরাধে চাকরি হারানোর পর মোখলেসুর তার প্রক্রিয়াজাত করা কফি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করার, কৃষক ও জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করে তাদের কফির চারা সরবরাহ করে এলাকা এবং সমগ্র অঞ্চলে কফি চাষ ও কফি পানকরা জনপ্রিয়করণ এবং সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কফি উৎপাদন, গুণমান মান উন্নয়ন, কফি বিন রোস্ট করার প্রক্রিয়া, রঙ, গাঁজন, বিভিন্ন স্বাদ এবং কফির স্বাদ বিকাশ, আরও অনেক বিষয় এবং কফি সম্পর্কে আরো বিশদ জ্ঞান অর্জনের জন্য অনলাইনে গবেষণা চালিয়ে যান।
এদিকে প্রতি বছর মোখলেসুরের কফি উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার চাষকৃত এবং প্রক্রিয়াজাত কফির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তার কফি বাগানে আসা লোকের সংখ্যা ও কফি চাষে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার প্রস্তুতকৃত কফির চারা বিক্রিও বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
মোখলেসুরের বাগানে ২০২০ সালে ৬৫ কেজি, ২০২১ সালে একশ’ কেজি, ২০২২ সালে ৯০ কেজি এবং ২০২৩ সালে ৮০ কেজি কফি বিন উৎপাদন হয়।
ভাজাসহ প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তিনি ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি কেজি গুঁড়ো কফি (গ্রাউন্ড কফি) তিন হাজার আটশ’ টাকা দরে বিক্রি করেন।
মোখলেসুর বলেন, “২০২৪ সাল থেকে আমি আমার প্রক্রিয়াজাত কফি সরাসরি গ্রাহকদের কাছে এবং অনলাইনেও ২ হাজার ৮ শ’ টাকা দরে বিক্রি করছি।”
এদিকে, মোখলেসুরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ইতোমধ্যেই তার কাছ থেকে কফির চারা সংগ্রহ করে সারা দেশের সাতটি বিভাগের প্রায় ২৫টি জেলায় তাদের নিজস্ব বাগানে রোপণ করে কফি চাষ করেছেন।
বিভিন্ন জেলার অনেক কৃষক ২০২৪ সালে তাদের উৎপাদিত অ্যারাবিকা জাতের কফি বিন মোখলেসুরের কাছে প্রতি কেজি ৮ শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
মোখলেসুর বলেন, “আমি ২০২৪ সালে ৩ শ’ কেজি কফি বিন প্রক্রিয়াজাত করেছিলাম। যার মধ্যে আমার উৎপাদনও ছিল এবং অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকেও কিনেছিলাম।”
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমি আমার ২০ শতাংশ জমির সাড়ে ৪ শ’টি গাছের কফি বাগানে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছি এবং ১৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছি। যদিও আমি সবদিক থেকে একদম শূন্য অবস্থান থেকে এই উদ্যোগটি শুরু করেছিলাম।”
বর্তমানে তার প্রস্তুতকৃত প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফফি চারা রয়েছে যার বিক্রয় করলে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা হতে পারে।
গত বছর কফি গাছ প্রুনিং বা ছাঁটাই করায় মোখলেসুর এ বছর তার বাগান থেকে তুলনামূলক কম কফি উৎপাদন পাবেন।
তবে তিনি এ বছর তার বাগান থেকে ৫৫ কেজি কফি বিন সংগ্রহ করার এবং তার কাছ থেকে চারা পাওয়ার পর ফসল চাষ করা এলাকার অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকে ৭৫০ কেজি কফি বিন কেনার আশা করছেন।
তিনি এ বছর কফি ব্যবসা থেকে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি নিট মুনাফা অর্জনের আশা করছেন। আগামী বছর ২০২৬ সালে তিনি এই অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে দেড় টন কফি বিন সংগ্রহ করার আশা প্রকাশ করেন। এতে করে চলতি বছরের চেয়ে তিনি দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন বলে জানান।
মোখলেসুর বলেন, “আমি কফির চারা তৈরি, কফি চাষ, ফসল তোলা, বিন রোস্টিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং এবং বিপণনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ইতিমধ্যেই অর্জন করতে পেরেছি যদিও কিছু শেখার কোনও সীমা নেই।”
একজন কফি চাষী এবং উদ্যোক্তা হিসেবে মোখলেসুর ২০২০ সালে তার বাগানের পাশে ‘রংপুর কফি ক্লাব’ চালু করেন। সেখানে লোকজন প্রতিদিন কফি আড্ডার জন্য জড়ো হয়, বিশেষ করে বিকেলে। তারা সেখান থেকে তার প্রক্রিয়াজাত কফি প্যাকেটে করেও কিনে নিয়ে যান।
মোখলেসুর তার কফি ক্লাবে কাপে কফি বিক্রি করে প্রতি মাসে দশ থেকে বার হাজার টাকা আয় করেন।
তিনি তার ‘রংপুর কফি ক্লাব’ থেকে সরাসরি প্যাকেটে করে প্রক্রিয়াজাত গুঁড়ো কফি বিক্রি করে এবং অনলাইন মার্কেটিং করে ভালো লাভ করেন। দিন দিন তার প্রক্রিয়াজাত করা গুঁড়ো কফির চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্পতি মোখলেসুরের ‘রংপুর কফি ক্লাব’ এ তার প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটের কফি কিনতে আসেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুষণা গ্রামের কলেজ শিক্ষক হরিশ চন্দ্র রায়। এসময় বাসস’র এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপাপকালে তিনি বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরে তিনি এখান থেকে নিয়মিত কফি বাসায় নিয়ে যান। অসাধারণ মান ও ফ্লেভারের কারণে বাসায় সকলে এই কফি পছন্দ করেন।
আরো অনেকের মত কাস্টমস কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস নিয়মিত সেখান থেকে কফি সংগ্রহ করেন।
অন্যদিকে, ‘রংপুর কফি ক্লাব’ এ কফি পান করার পরে মোখলেসুরের কাছ থেকে চারা নিয়ে গিয়ে অনেকে তাদের বাগান কফি চাষ করছেন।
তাদের মধ্যে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি এলাকার বেসরকারি চাকুরীজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রামে রাজারহাট উপজেলার ব্যবসায়ী মো. মাহতাব মণ্ডল এবং মাহমুদুল হাসান, রংপুরের সদর উপজেলার মাটিয়া পাড়া গ্রামের জুজু মিয়াসহ কয়েক’শ মানুষ বিভিন্ন জেলায় কফি চাষ করছেন।
কফি চাষ ইতোমধ্যেই একটি লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হওয়ায় মোখলেসুর এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে কফি চাষ সম্প্রসারণ করে রংপুর অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চান।
মোখলেসুর বলেন, যদি তিনি প্রয়োজনীয় সহায়তা পান, তাহলে সরকার, সংশ্লিষ্ট বিদেশী কোম্পানি এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে যৌথভাবে তারাগঞ্জে একটি আধুনিক কফি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারেন। যাতে করে সেখানে বিভিন্ন স্বাদের উচ্চমানের কফি উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, “এখানে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠিত হলে আমি নিশ্চিত যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কফি দেশকে স্বাবলম্বী করবে এবং বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।”
মোখলেসুর ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাংগালীপুর গ্রামের ফিরোজা আখতার পাপড়ীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক কন্যা মাসফিয়া রহমান (৯) ও এক পুত্র ফাইজুর রহমান মুয়াজ (৫) রয়েছে। কফি চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাককরণে মোখলেসুরকে তার স্ত্রী সর্বোতোভাবে সহযোগিতা করেন। পরিবারের সকলে কফি পান পছন্দ করেন।
রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বাসস’কে জানান, কফি জনপ্রিয়করণ এবং সুপার গ্রাইন্ডিং সুবিধাসহ আধুনিক কারখানা স্থাপন করলে এর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং কফি চাষীদের ভাগ্য ফিরবে।