বাসস
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০১

একুশের বইমেলার নতুন বই এসেছে ৮৪টি

বইমেলা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর ১০ম দিনে নতুন বই এসেছে মোট ৮৪টি।

এরমধ্যে গল্পের বই ৬টি, উপন্যাস ১৮টি, প্রবন্ধ ২টি, কবিতা ২১টি, গবেষণা ১টি, ছড়া ১টি,শিশুসাহিত্য ১টি, জীবনী ২টি,রচনাবলি ২টি, মুক্তিযুদ্ধ ১টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ২টি, ভ্রমণ ১টি, ইতিহাস ২টি, রাজনীতি ১টি, ভাষা ১টি, গণ-অভ্যুত্থান ২টি, ধর্মীয়  ১টি, অনুবাদ ১টি, সায়েন্স ফিকশন ১টিসহ অন্যান্য ১৬টি।
মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলার ১১ম দিন মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জীবন ও সাহিত্য : শাহেদ আলী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শিবলী আজাদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নাজিব ওয়াদুদ এবং মোস্তাক আহমাদ দীন। সভাপতিত্ব করবেন চঞ্চল কুমার বোস।  

সোমবার বই মেলার নির্ধারিত আয়োজনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ ড. মনিরুজ্জামানের সময়রেখা : ভাষাবিজ্ঞানের ত্রিকালদর্শী পরিব্রাজক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুর ইমতিয়াজ। অধ্যাপক মনসুর মুসা সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সালমা নাসরীন এবং মামুন অর রশীদ।  

প্রাবন্ধিক বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ভাষা বিজ্ঞানের দুরূহ পথে কেবল সরল রৈখিকভাবেই পরিভ্রমণ করেননি, বরং নজর দিয়েছেন অতীতের ভাষিক নিরীক্ষায় এবং ভবিষ্যতের ভাষা-গবেষণার সুলুক সন্ধানে। প্রতিভার মৌলিকত্বে তিনি তার স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। ভাষা বিজ্ঞান বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য এবং উপভাষা গবেষণায় অসামান্য অবদানের কারণে ভাষা বিজ্ঞানের জগতে যেমন  তার অবিস্মরণীয় খ্যাতি রয়েছে, তেমনি সুসাহিত্যিক ও সাহিত্য-বিশ্লেষক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যজগতে  তার নাম সুবিদিত। তিনি বাংলাদেশে অনুসৃত ভাষা বিজ্ঞানের যাবতীয় ধারাসমূহের বিন্যাস করেছেন। একইসঙ্গে তার রচনায় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের বিকাশমানতার ধারা প্রতিভাত হয়েছে।

আলোচকদ্বয় বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ছিলেন আধুনিক চিন্তাধারার অধিকারী বিজ্ঞান মনস্ক একজন মানুষ। গবেষণার মাধ্যমে তিনি বাংলা উপভাষার উচ্চারণগত, ব্যাকরণগত এবং শব্দগত বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন। ভাষা গবেষণায় তিনি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। তিনি উপভাষার অভ্যন্তরীণ রূপটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এবং উপভাষাকে উদার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনসুর মুসা বলেন, ড. মনিরুজ্জামান শৈশবকাল থেকেই বিভিন্ন উপভাষার সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং একজন গবেষক হিসেবে ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মূল্যবান গবেষণা ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা জোগাবে।

‘লেখক বলছি মঞ্চে’ নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কুদরত-ই-হুদা এবং হিজল জোবায়ের।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আজ ছিল মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’, সানজিদা আহমেদ লাবণ্যের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নৃত্য সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং মজিবুর রহমান বিরোহীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিরোহী শিল্পীগোষ্ঠী’-এর পরিবেশনা।

সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, এলাহী মাসুদ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, এ টি এম গোলাম মোস্তফা, পিয়াল হাসান এবং শামিমা সুলতানা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন প্রিয়ব্রত চৌধুরী (তবলা), শাহীনুর রহমান  (কী-বোর্ড), মো.ফায়জুর রহমান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতারা) এবং হাসান মিয়া (বাংলা ঢোল)।