বাসস
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৭
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৫

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেবেন : মির্জা ফখরুল

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনায়’ আসেন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।   

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস, বিরাজমান রাষ্ট্র পরিস্থিতি বিষয়ে পরামর্শ’ শিরোনামে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি চিঠি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবারই অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য তাদেরকে তাগাদা দিয়েছি। ন্যূনতম সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে যে, রিফর্ম কমিশন করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে বৈঠকে যারা ছিলেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন এবং তিনিও (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন যে, তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবং জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে- অতিদ্রুত নির্বাচন এবং একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি (প্রধান উপদেষ্টা), যার মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক সরকারের যে ট্রান্সজিশন হবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেটা অনেক সহজ হয়ে যাবে যদি একটা নির্বাচন হয়।’

নির্বাচনের রোড ম্যাপ কবে নাগাদ ঘোষণা হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা উনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঠিক করবেন। তবে সম্ভবত ১৫ তারিখের মধ্যে উনারা কিছু একটা জানাবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদেরর দোসরদের আইনের আওতায় আনতে এবং একই সঙ্গে তাদেরকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা আমরা বলেছি। এমনকি যারা অর্থনীতির ক্ষতি করেছে, লুট করেছে তাদের পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য এবং অর্থ লুণ্ঠনকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। একই সঙ্গে বিগত ১৫ বছরে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কথাও আমরা বলেছি।’

ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছি যে, এই সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তবে আমাদেরকে তারা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলছে। এ বিষয়ে বলেছি, অতীতেও আমরা অনেক অভিযান দেখেছি, সেই ধরনের যেন কোনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে। অর্থাৎ নিরপরাধ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’