শিরোনাম
ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে আজ এখানে বলেছেন, বহু-খাত ভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ (বিমসটেক) এবং দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। কারণ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো একই সাথে একাধিক আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে পারে।
তিনি বলেন,‘বেশ কয়েকটি দেশ সার্ক এবং বিমসটেক উভয় সংস্থার সদস্য এবং কয়েকটি দেশ আসিয়ানের অংশ। একাধিক আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে সম্পৃক্ত থাকার মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’
রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিক্যাব) সদস্যদের সাথে ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে পাণ্ডে এ মন্তব্য করেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সার্কের কার্যকারিতা নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
মহাসচিব আরও বলেন, উভয় সংস্থা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কিন্তু পরিপূরক ভূমিকা পালন করে।
পান্ডে আরও উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগকারী বিমসটেক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অন্যদিকে সার্ক ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর মনোনিবেশ করেছে।
আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে সর্বশেষ অগ্রগতি অবহিত করে তিনি ঘোষণা করেন যে, ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,শীর্ষ সম্মেলনের সময় আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সরকার প্রধানদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করা হবে।
পান্ডে বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং সংগঠনটিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথাও স্বীকার করেছেন।
তিনি বিমসটেকের আঞ্চলিক এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্র্বর্তী সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সম্মান করি এবং বিমসটেকের সাথে চলমান সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানাই।’
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিমসটেক ভুক্ত সাতটি সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
সংস্থার লক্ষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতি জোরদার করা।
ডিসিএবি সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন এবং অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।