বাসস
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫০

মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে নৌবাহিনী

মাছ সুরক্ষায় টহল দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ছবি : আইএসপিআর

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ জাল অপসারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ ৪টি ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায়  নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। নৌবাহিনী দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ  বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারী জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে এবং এ সকল অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার  চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনী জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়। এ সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এই অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

গতকাল ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬টি দোকান থেকে অবৈধ ৩০ লাখ ৬৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪ শত মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লাখ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়; যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭ শত টাকা। তৃতীয় ধাপে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। ওই অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ১ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়। উল্লেখ্য, অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।