বাসস
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৯

দেশ পুনর্গঠনে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে : যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তিন দিনব্যাপী 'তারুণ্যের উৎসব-২০২৫' এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ তারুণ্যের উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশ পুনর্গঠনে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তিন দিনব্যাপী 'তারুণ্যের উৎসব-২০২৫' এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত হচ্ছে।  ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো  বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালন করছে। এরই অংশ হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছে, যার আজকে শেষ দিন।

উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার বর্তমান সরকারের যে লক্ষ্য এবং তরুণদের যে অবদান রাখার সুযোগ আছে সেটা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর সামনে উত্থাপিত হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরাই ছিল মূল চালিকাশক্তি এবং গণঅভ্যুত্থান  পরে এখন পর্যন্ত তরুণরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে যাচ্ছে। তরুণরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছে, বাংলাদেশ আর কখনো পথ হারাবে না।

তিনি বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী শক্তি যারা গুম খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলো, তারা আজীবন জনগণের শত্রু হিসেবেই স্বীকৃতি পাবে। অভ্যুত্থান পরবর্তীতে নানা ধরনের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে দেশ গেছে, তবে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত আসার পিছনে সকলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

যুব ও ক্রীড়া সচিব তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহিদদের শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে। যুব ও  ক্রীড়া মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করছে। 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান. যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।