শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ-ব্যাগেজের ক্ষয়ক্ষতি, চুরি ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা, অবহেলা ও নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও ট্রানজিট অপারেশনের সময় যাত্রীদের লাগেজ-ব্যাগেজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ-ব্যাগেজের ক্ষয়ক্ষতি, চুরির অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে প্রশ্নেও রুল দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে আনা এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালযয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কাজী মো. ওমর সামদানী ও রওশন আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব ও নূর মুহাম্মদ আজমী।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থাই এয়ারওয়েজের বিমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে ঢাকায় ফেরেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। তাঁর সঙ্গে ছিল সাত কেজি ওজনের একটি ব্যাগ। ইমিগ্রেশন পার হয়ে ব্যাগ সংগ্রহ করার পর তিনি দেখেন ব্যাগটি ছেঁড়া এবং ভেতরের বেশকিছু জিনিস খোয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রথমে তিনি থাই এয়ারওয়েজের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেন। প্রতিকার না পেয়ে বিমানবন্দরের ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু ওই দপ্তর থেকে তাঁকে বলা হয়, বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দিতে। তবে ভুক্তভোগী আইনজীবী লাগেজ-ব্যাগেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠান। সে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি গত ১৫ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন।