শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থা মোটামুটি ভালো। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পজিটিভ, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজিটিভ, রেমিটেন্সও ভালো। আমরা আশা করছি, জুনে আইএমএফের ঋণের দুটি কিস্তি একসাথে পাওয়া যাবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তার মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কর্মকর্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাওয়ার সময় ভাতা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণ, মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অর্থের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবহন সমস্যা সমাধান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খরচ মোকাবেলা করার প্রস্তাব করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়ার জন্য আর্থিক খাতে নানা ধরনের সংস্কারের শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। চতুর্থ কিস্তিতে অর্থ পেতে শর্ত ছিল চারটি। এর মধ্যে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণ নিয়ে শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আইএমএফ সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
সব শর্ত একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছু কিছু কাজ আছে। আমরা তাড়াতাড়ি করছি না। অনেকে মনে করছে, আমরা সব ভিক্ষা করে নিয়ে আসছি, টাকা পয়সা। আমরা কিন্তু সব নিয়ম কানুন, শর্ত মেনে কাজ করছি। তারা বললেই যে সব হবে তা না, আমরা কিন্তু সরকার। আমরা আমাদের মত করে করব, আমরা বলেছি সব একসাথে করতে পারব না।
কথা ছিল, তৃতীয় পর্যালোচনা শেষ করে ৫ ফেব্রুয়ারি এর বোর্ড সভার পর ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় করবে আইএমএফ। তবে সেই সভা ১২ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ কিস্তি অনুমোদনের বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে।
আমরা বলেছি, আমরা একটু অপেক্ষা করব। এক সাথে দুটো কিস্তি পাবো জুনে। তাহলে অঙ্কটা বড় হবে।