শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অন্তর্বর্তী সরকারের একটি টাস্কফোর্স ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) জন্য ‘ঢাকা হাট’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে।
টাস্কফোর্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএমই-দের উৎসাহিত করার জন্য, সরকারের উচিত দিল্লির সফল হস্তশিল্প বাজারের আদলে একটি ‘ঢাকা হাট’ স্থাপনের কথা বিবেচনা করা। যা সারা বছর ধরে এসএমই পণ্য প্রদর্শন করবে।
টাস্কফোর্স আরো বলেছে, ঢাকা হাট স্থানীয় কারিগর ও ছোট ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ স্থান প্রদান করতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই উদ্যোগটি কেবল স্থানীয় পণ্যের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করবে না বরং এসএমই খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে’।
এতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) হিসেবে পরিচিত এসএমই-এর বিশাল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গোষ্ঠীর পণ্যগুলোকে পুনঃশ্রেণীবদ্ধ করতে হবে।
‘এসএমই খাতের প্রতিটি বিভাগের সব স্বতন্ত্র চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, নীতিগত সহায়তা কার্যকর ও যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনঃশ্রেণীবদ্ধকরণের এই প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলা না করে, নীতিগত উদ্যোগগুলো খাতের মধ্যে বৃহত্তর উদ্যোগগুলোতে সহায়তা কেন্দ্রীভূত করার ঝুঁকি নিচ্ছে। অন্যদিকে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপেক্ষা করছে যাদের বাধাগুলো অতিক্রম করার জন্য উপযুক্ত সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
টাস্কফোর্স পরামর্শ দিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে তা নিশ্চিত করবে, আকার নির্বিশেষে সকল এসএমই উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে।
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গত ৩০ জানুয়ারি ‘অর্থনীতির পুনর্কৌশলীকরণ এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহ’ শীর্ষক টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
উন্নয়ন কৌশল পুনর্গঠন, আর্থিক ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর খুঁজে বের করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ১২ সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।