শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): জেলার ভৈরবে জুতা তৈরি শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। এটি এখন দেশের সবচেয়ে বড় জুতা প্রস্তুতকারক এলাকা। এখানে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ছোট বড় কারখানা। এসব কারখানায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানের তৈরি জুতা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।
সরকারি পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে জুতার রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত আড়াই থেকে তিন দশকে ভৈরব উপজেলায় গড়ে উঠেছে এই জুতা তৈরির শিল্প। উপজেলা শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ছোট বড় কারখানা। এখানে মাঝারি এবং ছোট কারখানায় বেশি। যার প্রতিটিতে বিনিয়োগ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। বড় কারখানা রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যেগুলোতে বিনিয়োগ প্রায় কোটি টাকার উপরে। এখানের বেশিরভাগ কারখানাতে সাধারণ মানের জুতা উৎপাদন হয়। ছেলে ও মেয়েদের স্যান্ডেল, রয়েছে সু, পেন্সিল হিল, ফ্ল্যাট হিলসহ বাচ্চাদের জুতা। মান অনুসারে হয় এসব জুতার দাম। সর্বনিম্ন ১৭০০ থেকে ৫০০০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয় এক ডজন জুতা।এখানের জুতা রপ্তানি হচ্ছে ভারত,দুবাই,এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে।
চামড়া, প্লাস্টিক, ফোম ও রেক্সিনের মতো নানা উপকরণের কাঁচামাল শতকরা ৯০ শতাংশ আসে চিন থেকে। বাকিটা মিলে স্থানীয়ভাবে। কারিগররা জানান, এখানে জুতা তৈরিতে ভালো মানের উপকরণই ব্যবহার হয়। তাই এখানকার জুতা মানে ভালো ও টেকসই। এই জুতোগুলো বিক্রির জন্য আশপাশের গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শপিং মল। এই শপিং মল গুলোতে প্রায় দুই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এই শপিং মল গুলো থেকে জুতা নিতে সারা দেশ থেকে পাইকাররা আসেন এখানে। এখান থেকে লাখ লাখ টাকার জুতা কিনে নিয়ে যান তারা।
মুন্না সুজের মালিক জিলানি মিয়া বলেন, বর্তমানে জুতার ব্যবসা মন্দা রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে পর থেকে ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে কাঁচামাল কম আমদানি হচ্ছে। এছাড়াও বেড়েছে কাঁচামালে দাম। এতে বেড়েছে জুতার উৎপাদন খরচ। তাতে আর কম দামে জুতা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে কমেছে ব্যবসা।
ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক ও সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন মিয়া বলেন, সরকার যদি এই শিল্পের প্রতি সুদৃষ্টি রাখে। জুতা রপ্তানি করার জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণে ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে আরও বেশি রপ্তানি করা সম্ভব হবে।