শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরীতে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড ভিত্তিক মনিটরিং চলবে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে চট্টগ্রাম নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র এ সব কথা বলেন।
ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে জনগণকে বাঁচাতে মশা নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ১০০ পিস ফগার মেশিন এবং ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কিনেছি। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্যাংক ডেঙ্গু ও মশাবাহিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা চলছে, তারাও জনগণের পাশে দাঁড়াতে চায়।
মশা নিয়ন্ত্রণে ঔষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, মশার ঔষুধের যাতে কোনভাবেই ঘাটতি না পড়ে। বর্তমানে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন। আরো কোন কোম্পানি যদি ভালো ঔষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করবো। এ ব্যাপারে আমরা কোন কম্প্রমাইজ করতে চাই না। বিকল্প হিসেবে মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে।
জনসচেতনতার উপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, বিভিন্ন জায়গায় নালা ঝোপ-ঝাড়গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গু সচেতনতার লিফলেট বিতরণ আরো বাড়াতে হবে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা জিরোতে নিয়ে আসতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে আমরা জনগণের কোন উপকার করতে পারবো না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।