বাসস
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৬

বাংলাদেশ ও চীন আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ এবং চীন ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, যাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকীতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আদান-প্রদান দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।

চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং আজ বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আজ এখানে পাওয়া এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

সান ওয়েইডং এর সাথে রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামের প্রথম সাক্ষাতে উভয়েই বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদার করা এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

উভয় পক্ষই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক অনাগ্রসন, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পারস্পরিক হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে নতুন করে গতি সঞ্চারে তারা সম্মত হয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত ইসলাম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অন্বেষণে চীনা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান।

আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশ নিতে তিনি তাদের উৎসাহিত করেন।

ভাইস মিনিস্টার সান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি সফর বিনিময় এবং প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন।

উভেয়ই বহুপাক্ষিক ফোরামে, বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। যাতে বহুপাক্ষিকতার সুবিধা সবাই, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে, যেমন- লোগো প্রকাশ, বিগত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি এবং চিকিৎসা পর্যটন চালু করা।

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ও চীন উভয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় কুনমিং-এ বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিনটি তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আরও একটি হাসপাতাল অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।