শিরোনাম
ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): অমর একুশে বইমেলার ২২ তম দিনে আজ নতুন বই এসেছে ১৪৪টি। সকাল ১১টায় শুরু মেলায় আজ বেলা ১ টা পর্যন্ত ছিল শিশু প্রহর। এর আগে আজ অমর একুশে বইমেলায় সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কণ, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. সেলিম রেজা। আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর তেইশ-তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘গণ-অভ্যুত্থান ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শাওলী মাহবুব এবং মুশাররাত শর্মি হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন রেহনুমা আহমেদ। আজ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় ১ম হয়েছেন সৈয়দ মু. আননুর হায়দার, ২য় হয়েছেন মুহাম্মদ শাহরিয়াদ রহমান শিহাব, ৩য় হয়েছেন ওয়াফিয়া নূর। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন আসবাহ রহমান, ২য় হয়েছেন মুহাম্মদ শাহরিয়ার রহমান হাবিব, ৩য় হয়েছেন দীপান্বিতা নন্দী। গ-শাখায় ১ম হয়েছেন নুজহাত সালসাবিল মুন, ২য় হয়েছেন জায়ান দেওয়ান, ৩য় হয়েছেন মায়মুনা চৌধুরী ফাইজা। শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় ১ম হয়েছেন ফাবলিহা মোস্তাক আরওয়া, ২য় হয়েছেন মাহরীন নাওয়ার এবং ৩য় হয়েছেন মেহজারিন ইসলাম রূপকথা। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন বেহজারিন হাসান তারফি, ২য় হয়েছেন শরীফ ইবতিহাজ ইসলাম এবং ৩য় হয়েছেন সুনিপুণ বড়ুয়া চৌধুরী এবং গ-শাখায় ১ম হয়েছেন নুজহাত করিম ফাইজা, ২য় হয়েছেন আবদুল্লাহ আল হাসান মাহি এবং ৩য় হয়েছেন তাজকিয়া সমৃদ্ধি সূচনা। শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় ১ম হয়েছেন আরোহী বর্ণমালা, ২য় হয়েছেন লাইসা নূর বিনতে রহমান এবং ৩য় হয়েছেন তাহানি আবসি। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন নীলান্তি নীলাম্বরি তিতির, ২য় হয়েছেন সার্থক সাহা এবং ৩য় হয়েছেন অনিরুদ্ধ ধর। গ-শাখায় ১ম হয়েছেন রোদসী নূর সিদ্দিকী, ২য় হয়েছেন তানজিম বিন তাজ প্রত্যয় এবং ৩য় হয়েছেন তোকি ইয়াসার আয়মান। বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কায়কোবাদের সাহিত্যে ‘শ্মশানে’র চিত্রাবলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমরান কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হাবিব আর রহমান। সভাপতিত্ব করেন আবু দায়েন। প্রাবন্ধিক ইমরান কামাল বলেন, কায়কোবাদ স্বশিক্ষিত মানুষ হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। কবি হিসেবে কায়কোবাদের আবির্ভাব তখন, যখন বাংলার সাহিত্য-ধারা হিসেবে কাহিনিকাব্যের প্রভাব ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসতে শুরু করেছে। কবি হিসেবে কায়কোবাদ নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন ‘পুরাতন’ পথের পথিক হিসেবেই। কায়কোবাদ কাহিনি-নির্ভর কবি। তার প্রায় সকল কবিতা ও কাব্যই কাহিনির আশ্রয়ে শিল্পিত হয়। তার প্রতিটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা ও কাব্য কাহিনির ভাব ও বিষয়বস্তু গাঁথা হয় সুনির্দিষ্ট প্রতীকী শব্দের সাহায্য। আলোচক হাবিব আর রহমান বলেন, কবি কায়কোবাদের মধ্যে খুব অল্প বয়সেই স্বদেশ চেতনা জাগ্রত হয়েছিল। তিনি কেবল কাহিনি ভিত্তিক কাব্যেরই কবি নন, গীতিকাব্যেরও কবি। দেশপ্রেমের যথার্থ আবেগ এবং অনগ্রসর মুসলমানদের জন্য বেদনাবোধ ছিল কায়কোবাদের সমাজসচেতন মনের পরিচয়। তিনি আন্তরিকভাবে হিন্দু-মুসলমানের মিলন কামনা করেছিলেন। গীতি কবিতার জন্য কায়কোবাদ বাংলা সাহিত্য জগতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সভাপতির বক্তৃতায় আবু দায়েন বলেন, কবি কায়কোবাদ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। কবি হিসেবে তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তার মধ্যে যে শাশ্বত মানবিকতার বোধ ছিল, তা-ই একজন কবি বা সাহিত্যিকের মূল চেতনার জায়গা। লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন—প্রাবন্ধিক ও গবেষক হাবিব আর রহমান এবং কবি আমিরুল মোমেনীন মানিক। বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মালেক মুস্তাকিম, কবি ড. শাহনাজ পারভীন, কবি মোশাররফ হোসেন খান এবং কবি মমতাজ রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী লায়লা পারভীন কেয়া, নায়লা তারাননুম চৌধুরী এবং শাহিদা পারভীন রেখা।