শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫(বাসস) : অবিলম্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাংবিধানিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি স্থায়ী ‘স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন’ করার সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
গত ১৮ নভেম্বর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপনে প্রফেসর তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠিত হয়।
কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু কাজ পরিপূর্ণভাবে শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে, তাই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেষ করতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন হবে।
ইতোমধ্যে সরকার ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করছে। তাই স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন আলোচনা ও ঐকমত্যে উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য এ কমিশনের তৈরিকৃত প্রাথমিক কিছু মৌলিক সুপারিশ এখনই সরকার ও ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার জন্য উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রাথমিক সুপারিশের সাথে আরও দুইটি অধ্যায় বিশেষত সারা দেশে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর মাধ্যমে ৪৬৬৮০ জন উত্তরদাতার মধ্যে পরিচালিত মতামত জরিপ এবং নির্বাচন বিষয়ক একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে।’
স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে গঠিত নাজমুল হুদা কমিশন, রহমত আলী কমিশন এবং শওকত আলী কমিশন একটি স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছিল। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরহুম ফয়জুর রাজ্জাককে চেয়ারম্যান এবং মরহুম হেদায়াতুল ইসলাম চৌধুরী ও ড. তোফায়েল আহমেদকে সদস্য করে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ওই অধ্যাদেশ অনুমোদন না করায় কমিশনটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার কমিশন পুনরায় গঠিত হলে স্থানীয় সরকার সংস্কারের সুপারিশসমূহ সুসংহতভাবে বাস্তবায়ন অগ্রগতি লাভ করতে পারে বলে কমিশন মনে করে।
স্থানীয় সরকার কমিশনসহ স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত সকল সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ দীর্ঘমেয়াদে সরকারকে যথাযথভাবে সকল আইন, বিধি, নিয়মকানুন ধারাবাহিক ভাবে আইনানুগ পন্থায় প্রস্তুত করতে সহায়তা করতে পারবে।
এ কমিশন সকল সংস্কারকর্মের একটি ধারাবাহিকতা রক্ষায় সক্ষম হবে। কমিশন, স্থানীয় সরকার অর্থায়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনের আওতায় আমলাতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধিদের সমানভাবে বিচার বিবেচনা করে আইনের শাসন ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে বলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়।