বাসস
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১

মুন্সীগঞ্জে গত ১ মাসে ১ শত কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

মুন্সীগঞ্জ থেকে এক মাসে প্রায় শত কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। ছবি: বাসস

মুন্সীগঞ্জ, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের দয়ালবাজার, রামেরগাঁও, নয়াগাঁও এবং ডিঙ্গাভাংগা এলাকায় গত এক মাসে প্রায় ১ শত কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গত ১ মাসে কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ।

সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন জাল তৈরী এবং বিপণনের প্রধান কেন্দ্র। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল বাজারজাত করা হয়।এখানে স্বাভাবিক জাল তৈরীর কারখানায় এবং গোপনে বিভিন্ন কারখানায় অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরী হচ্ছে। পঞ্চসার এলাকায় সারা বছর অভিযান পরিচালনা করলেও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ হচ্ছে না। মৎস্য অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর উপজেলার পঞ্চসার ও রামপাল ইউনিয়নে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে।

গত এক মাসে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও, দয়ালবাজার, রামেরগাঁও এবং ডিঙ্গাভাংগা এলাকায় জাল তৈরী কারখানা, আয়রন কারখানা এবং গোডাউনে কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ৮ টি জাল তৈরী কারখানা, আয়রন কারখানা এবং গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১ শত কোটি টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল এবং জাল তৈরীর সুূতা জব্দ করে। এসব জব্দ কারেন্ট জাল পরে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন মোঃ সিয়াম - উল -হক জানান গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন অধীন বিসিজি স্টেশন পাগলা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার  পঞ্চসার  ইউনিয়নের দয়ালবাজার এবং রামেরগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় ৬ টি জাল তৈরীর কারখানা এবং ৬ টি গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে ২ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং জাল তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ৮ হাজার ৫ শত মিটার সুতার রিল জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯৬ কোটি ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এর আগে জেলা প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদপ্তর পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে  বিভিন্ন কারখানা এবং গোডাউন থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাল তৈরীর সুতা জব্দ করে। বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক কারেন্ট জাল এবং সুতা জব্দ হলেও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। উৎপাদনকারী আটক না হওয়ায় অভিযান চালানোর কিছুদিন পরেই ঐসব কারখানায় আবার অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরী শুরু হয়। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.টি.এম তৌফিক মাহমুদ বাসসকে জানান, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে মৎস্য অধিদপ্তর জেলায় অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন এবং ব্যবহার বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে বিপুল পরিমাণের কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে মালিক এবং কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।