শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সাংসদ ও দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের সকল ক্রান্তিকালে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত সমাদৃত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে একজন আপোষহীন যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। জনসেবার মহান লক্ষ্য সামনে নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সরকারের মন্ত্রী হয়ে নিজ এলাকাসহ সারাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক হিসেবে তাঁর অবদান জাতির নিকট চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাজ্ঞ ও জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ হিসেবেও সর্বমহলে তাঁর ছিল অকৃত্রিম গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তাঁর লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। বর্তমান সময়ে তাঁর মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।
আমি আবদুল্লাহ আল নোমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান আজ সকালে ৬টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।