শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় মেসার্স আলফা কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী (৪০) ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিসেস নওরিন হাসিবসহ (২৮) আটজনের ১২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯০ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে আসামিদের।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী (৬৫), বিসমিল্লাহ টাওয়েলস গ্রুপের ডিএমডি আকবর আজীজ মুত্তাকী (৫৬), জিএম মো. আবুল হোসাইন চৌধুরী, (৪২), ম্যানেজার রিয়াজ আহম্মেদ উদ্দিন শাফি (৩৭), নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন (৩৭) ও যমুনা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)। একই সঙ্গে দণ্ডিতদের নামে থাকা সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপর দিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মোর্শেদুর রহমান এবং এস এম জাহিদুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত ।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে মোট ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা অপরাধলব্ধ আয় করেন। খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ সঙ্গীয় আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের মধ্যে ১৩২টি এলসির বিপরীতে ১২৯ দশমিক ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে প্রত্যাবাসন না করে রফতানির আবরণে পাচার করেছেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আল-আমিন মতিঝিল থানায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলা চলাকালে আদালতে ১৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।