শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : জাটকা সংরক্ষন ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করছে মৎস্য,কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন। সকাল থেকে রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ। নদীতে দেখা যায়নি জেলেদের কোন নৌকা।
এই আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। অভিযানের প্রথমদিন নদীতে নামেনি জেলেরা। ফলে ৫০টি মাছ ঘাট অলস সময় পার করছেন জেলে ও আড়ৎদাররা। পাশাপাশি ঘাট এলাকায় বরফকলগুলো বন্ধ রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলেকে দেয়া হবে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফের চাল।
জেলা মৎস্য অফিস ও ব্যবসায়ীরা জানায়, এ জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।
এসময় জেলার রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত একশ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন,পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে,তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমান ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।