বাসস
  ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭:২৬

নৌবাহিনীর ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ সমাপ্ত

ঢাকা, ১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : দেশের মৎস্য সম্পদ ও জীব বৈচিত্র্যের সুরক্ষায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২৫’ শুক্রবার সমাপ্ত হয়েছে।

দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সব অবৈধ জাল অপসারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকারের জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়।

গত ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চারটি ধাপে পরিচালিত এই অভিযানে মোট ১৩২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ টাকার অবৈধ জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়।

মৎস্য নিধনের ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও মুন্সিগঞ্জসহ মোট ১৬টি জেলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে। এ অপারেশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ-ঘাঁটি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট মোতায়েন করা হয়।

১২ থেকে ১৯ জানুয়ারি, ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারটি ধাপে মোট ৩০৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চায়না দুয়ারি জাল, সুতার জাল, বাধা জালসহ সর্বমোট ১ কোটি ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।

এছাড়াও বেহুন্দি, টং জাল, চায়না রিংসহ সর্বমোট ৫৪২টি বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল এবং ১০৯ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়। যার ভিত্তি মূল্য ১৩২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ টাকা। অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জাটকা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়। পাশাপাশি এ সব অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে এবং বৈধ মৎস্য আহরণে তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২১ সাল থেকে উপকূলীয় জেলাসমূহে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া বর্তমানে জাটকা নিধন বন্ধের লক্ষ্যে নয়টি জেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ-ঘাঁটি নিয়োজিত রয়েছে।