শিরোনাম
সাতক্ষীরা, ১ মাচর্, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আজ দীর্ঘ দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে কাঁকড়া আহরণ শুরু হয়েছে।
আজ সকাল থেকে বন বিভাগের পাশ (অনুমতিপত্র) নিয়ে কাঁকড়া আহরণের লক্ষ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে উপকূলের বনজীবী পরিবারগুলোতে শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।
১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানির নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকেই প্রতিবছর দুইমাস কাঁকড়া ধরার পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয়।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা, কৈখালী ও কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের আওতায় দুইহাজার নয়শ’টি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতিপত্র আছে।এর মধ্যে কাঁকড়া ধরার নৌকা একহাজার ছয়শ’টি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের আওতাধীন পুষ্পকাটি, মান্দারবাড়িয়া, নটাবেঁকি ও হলদেবুনিয়া এলাকায় অভয়ারণ্য রয়েছে। এছাড়া দোবেকী ও কাঁচিকাটার ৫২ শতাংশ অভয়ারণ্য ঘোষিত। এছাড়াও সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ছোট কেয়াখালী খাল, বড় কেয়াখালী খাল, খোলশিবুনিয়া খাল ও সাপখালী খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশের নদী ও খালে বৈধ পাস-পারমিটধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মসিউর রহমান জানান, কাঁকড়ার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবনে বিভিন্ন নদী-খালে দুইমাস জেলেদের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা প্রবেশনিষিদ্ধ অভয়াশ্রম ছাড়া অন্য নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন।
তিনি জানান, কেউ যাতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি নিয়ে বেআইনি কর্মকান্ডে জড়িত হতে না পারে, সে জন্য বনরক্ষীদের টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলারে কাঁকড়া পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।