শিরোনাম
ঢাকা, ১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হওয়া নতুন রাজনৈতিক দলকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) অভিনন্দন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নতুন দলকে অভিনন্দন জানাই। আমরা চাই, গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটুক। তবে তাদের গণপরিষদ গঠনের দাবির বিষয়টি প্রশ্নবোধক বলে মনে করি। গণপরিষদ ও সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনের কথা যারা বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দীর্ঘয়িত করাই তাদের উদ্দেশ্য।’
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে (আইডিইবি) ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালেদা জিয়া। কেয়ারটেকার সরকার প্রবর্তন করা ছিল তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। সেটি চালু থাকলে হয়তো ২৪ এর রক্তপাত ঘটতো না।’
৫ আগস্টই আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করতে পারলে সেটা হবে আমাদের রাজনৈতিক কৌশলের ব্যর্থতা। তাই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে হবে ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে।’
অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এ মাসের (মার্চ) মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায়, সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে রাজপথে বেড়ে ওঠা ঐক্য বিনষ্ট হলে লাভবান হবে পতিত স্বৈরাচার।’
তিনি বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বচনের কথা বলছেন, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। কারণ, তারা জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ভয় পান।
তিনি বলেন, ২৪ এর জুলাইয়ে আন্দোলন তো স্থানীয় নির্বাচনের দাবিতে হয়নি। এ বিষয়টি বিবেচনা করেই সবাইকে কথা বলা উচিত। যদি পরিকল্পনা থাকে চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচন আগে করা, তাহলে বলবো এর উদ্দেশ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী করা।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। এন আর এফ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কাদের গণি চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জামাল উদ্দিন রনো, তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. মাহাদী আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, তারেক রহমান প্রমুখ।