বাসস
  ০৩ মার্চ ২০২৫, ২৩:০১

শাহজাদপুরে বহুতল ভবনের হোটেল বা পার্লার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে: ফায়ার সার্ভিস

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাদপুরের ৬ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: বাসস

ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর শাহজাদপুরের ৬ তলা ভবনের অগ্নিকাণ্ড সৌদিয়া হোটেল বা পার্লারের যে কোনো একটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

আজ অগ্নিকাণ্ড ও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান।

 

তিনি বলেন, দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে শাহজাদপুরের ভাটারা এলাকায় একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ছয় তলা ভবনে সৌদিয়া নামে একটি হোটেল ও একটি পার্লার রয়েছে। হোটেল বা পার্লারের যে কোনো একটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত চারজনের মরদেহ ওই ভবনের ছয়তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মরদেহ বাথরুমের ভেতরে ও অপর তিনজনের মরদেহ সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। 

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান জানান, ভবনটি নির্মাণের জন্য রাজউকের কোনো অনুমোদন ছিল না। এছাড়া ফায়ার সেফটি কোনো ধরনের ব্যবস্থাও ছিল না।

পাশাপাশি রুমগুলো ছিল খুব সংকীর্ণ। ছাদে ওঠার সিঁড়ির দেয়ালে থাকা জানালা ও দরজা ছিল বন্ধ। ফলে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বাসস’র ঢাকা মেডিকেল সংবাদদাতা জানান, রাজধানীর শাহজাদপুরে বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় চারটি মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে মর্গে আনা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন - অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৪০) , অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩৫ ),অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০) ও মিরন জমাদ্দার (৫৫)। 

মেডিকেল সংবাদদাতা জানান, মিরন জমাদ্দারের মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছেলে মুনিম জমাদ্দার।

নিহতের ছেলে মুনিম জমাদ্দার জানিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার আমার সৌদি গমনের ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল। আজ সকালে আমার বাবা শাহজাদপুরের সৌদিয়া হোটেলে ৪০২ নং রুমে উঠেন, তার সাথে ছিলেন আমার মামা হিরন তালুকদার। পরে আমার বাবা মামাকে হোটেলে নাস্তা খেয়ে বাবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসতে বলেন। পরে মামা নাস্তা নিয়ে এসে দেখেন হোটেলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, তখন তিনি আর হোটেলে ঢুকতে পারেননি। পরে আমি রামপুরা থেকে সৌদিয়া হোটেলে এসে দেখি আমার বাবা বের হতে পারেননি। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানা দারুল হুদা বটতলা গ্রামে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।

সোমবার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে গুলশান থানা পুলিশ ৪টি মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে ।