শিরোনাম
ঢাকা, ৪ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট) টেন্ডার প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় থেকে আজ মঙ্গলবার একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট) সামগ্রী ক্রয় করতে ঔষধপত্র, লিলেন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ-ব্যান্ডেস-কটন, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট এবং মেডিক্যাল আসবাবপত্র সরবরাহ করার জন্য ৬টি গ্রুপে ওপেন টেন্ডার মেথড পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি গ্রুপে ৫/৬ জন দরপত্রদাতা অংশগ্রহণ করেন।
অভিযোগে উল্লিখিত ১ম/২য় সর্বনিম্ন দরপত্রদাতাকে বাদ দিয়ে ২য়/৩য় দরপত্রদাতাকে এনওএ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্লেষণের লক্ষ্যে টেন্ডার সম্পর্কিত যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম পাহাড়তলী প্রাণহরি আমীন একাডেমিতে বিদ্যালয়ের সম্পদের বিপরীতে অর্জিত অর্থ বিদ্যালয় তহবিলে জমা প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা ও শিক্ষকগণের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। টিম জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের বিবরণী মাসিকভিত্তিতে নির্ধারিত রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ আকারে সংরক্ষণ করা হয়।
দুদক টিম অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখার নিমিত্ত রেজিস্ট্রারসমূহ, সাধারণ তহবিল, টিউশন ফি তহবিল, রিজার্ভ তহবিল, গ্রাচুইটি তহবিলের বিপরীতে ব্যাংক হিসাবের বিবরণী সংগ্রহ করে।