বাসস
  ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৭

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিককে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট

ঢাকা, ৬ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিকের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।

রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান থাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করে। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতের এই আদেশ কার্যকর করতে গেলে ইটভাটা মালিকগণ অন্য একটি রিট দায়ের করলে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করে রুল দেয়। পরে ইটভাটা মালিকদের রিট এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয়। একপর্যায়ে আদালত রুল খারিজ করে রায় দেয়। সে রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকগণ আপিল দায়ের করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৪ জুন রায় প্রদান করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। এর কয়েক মাস পর ইটভাটা মালিকগণ অপর একটি রিট দায়ের করলে আদালত আবার স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়। পরে স্থিতাবস্থার আদেশ ছয় মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে আদালতকে অভিহিত করেন যে, কতিপয় ইটভাটা মালিক একই বিষয়ে বার-বার রিট দায়ের করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছে। এছাড়া কতিপয় ইটভাটা মালিক ইতোপূর্বে আদালতের আদেশ জালিয়াতি করেছে এবং আদালত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে গতকাল এসব বিষয় ম্যানসন করলে আজ হাইকোর্ট অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইট ভাটা মালিকের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।