শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৭ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় টানা অভিযানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও তাদের সহযোগী হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে সিএমপি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিএমপি’র বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযানে নগরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি রোধে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তথ্যমতে, সিএমপি’র দক্ষিণ বিভাগে ৭ জন, উত্তর বিভাগে ৮ জন, পশ্চিম বিভাগে ২২ জন এবং বন্দর বিভাগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে দক্ষিণ বিভাগের কোতোয়ালী থানায় রাজীব বণিক (৪০), মো. সাহেদ হোসেন প্রকাশ শাহেদ (৩২), বাকলিয়া থানায় ৩৫ নং ওর্য়াড বক্সিরহাট আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আফসার উদ্দিন (৫৮), নাজমুল হাসান (১৯), মো. ইমন প্রকাশ শফিক (২১), চকবাজার থানায় মো. নুরুল আফসার (৫২) ও সদরঘাট থানায় মো. আশিক (২০)।
‘উত্তর বিভাগের চান্দগাঁও থানায় বিশ্বজিৎ নাথ (৫৩), মো. বাবুল (৪১), বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মো. ইব্রাহিম (৪৩), পাঁচলাইশ থানায় মোহাম্মদ আলী (২৮) ও খুলশী থানায় মো. ইফরান (২২), মো. শাকিল প্রকাশ আসিফ (২৪), মো. মোসাদ্দেকুল প্রকাশ মোরশেদ (৩৩), মো. নাইম (২৩), পশ্চিম বিভাগের আকবরশাহ থানায় মো. মামুনুর রশিদ (৪৮), জহুরুল আলম জসিম (৫৫), মো. ইমরান উদ্দিন আকাশ (৩০)।’
‘পাহাড়তলী থানায় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আবু রাশেদ (৪৪), মো. আজাদ (২১), মো. সোহেল (১৯), মো. শাকিল (১৯), মো. ইমরান (১৯), মো. মেহেদী হাসান (১৯), মো. শান্ত (১৯), মো. রাজু (২০), মোক্তার হোসেন (২৬), মো. ইয়ামিন (২২), ডবলমুরিং থানায় মো. ইসমাইল হোসেন (৩০), মো. আমির হোসেন (৫৫), মো. শামসু (৫০), জুজু মিয়া (৫৫), মো. জামাল হোসেন (৪৫), মো. ফারুক মিয়া (৫৬), মো. রিয়াদ হোসেন (১৯), মো. ইমরান হোসেন রানা (৩২)।’
‘হালিশহর থানায় ইব্রাহীম চৌধুরী সাজ্জাদ (৩০) এবং বন্দর বিভাগের কর্ণফুলী থানায় মো. জাহেদ (৩৫), ইপিজেড থানায় মো. লেয়াকত আলী প্রকাশ ইয়াকুব (৩৬) ও বন্দর থানায় ৩৭নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা (৪৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।