শিরোনাম
যশোর, ৭ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, অ্যাক্টিভিস্ট বেনজীন খান বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন করে সংবিধান সভার মাধ্যমে নতুন করে সংবিধান রচনা করতে হবে। এরপর নতুন সংবিধানের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে জনগণের অভিপ্রায় স্থান পায়নি। বাহাত্তরের সংবিধান যদি বহাল থাকে, তাহলে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের যে অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে, তার কোন মূল্যায়ন হবে না। পুরনো সংবিধান অনুযায়ী জুলাই বিপ্লবের নায়করা খলনায়কে পরিণত হবেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের প্রাচ্যসংঘ অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ‘জুলাই বিপ্লব: গণপরিষদ নির্বাচন ও সেকেন্ড রিপাবলিক’- শীর্ষক এ আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন নাগরিক কমিটি যশোরের প্রতিনিধি আশা লতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ এবং সংগঠনের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সামিউল আজিম।
আলোচনা সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার নেতৃবৃন্দসহ জেলার সবগুলো উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে একই স্থানে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ।
মুখ্য আলোচক বেনজীন খান আরও বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত যে বিপ্লব তা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে জয়ীরা ভারতের পরামর্শে বাহাত্তরে সংবিধান রচনা করেন, যেখানে দেশের সাধারণ মানুষের অভিপ্রায় প্রকাশ পায়নি। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, তার আলোকে এখন নতুন করে সংবিধান রচনা করতে হবে। এই সংবিধানে জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। তা না করে যদি বাহাত্তরের সংবিধান বহাল রাখা হয়, তাহলে সেই সংবিধান অনুযায়ী জুলাই বিপ্লবের নায়কদের ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হিসেবে বিচার করে ফাঁসি দেয়া হবে। বেনজীন খান বলেন, এরকম উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে। এর আগে জালিম শাসকের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে যারা জীবনবাজী রেখেছিলেন, সেই ত্যাগকে স্বীকৃতি না দেয়ায় পরবর্তীতে তাদের ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়েছে।