বাসস
  ১২ মার্চ ২০২৫, ২৩:১১

নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে বাল্কহেড ডুবে ২ শ্রমিক নিখোঁজ 

প্রতীকী ছবি। পেক্সেলস

শরীয়তপুর, ১২ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে নোঙর করে রাখা বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মুলফৎগঞ্জ এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাছে বালু বোঝাই বাল্কহেডটি ডুবে যায়।

নিখোঁজ দুই শ্রমিক হলেন আল আমিন (৩৭) ও আরিফ মিয়া (২৬)। তাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে মাদারীপুর ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শরীয়তপুরের সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুল জব্বার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ‘মহসিন এক্সপ্রেস’ নামের বাল্কহেডটির নিহত শ্রমিক আল আমিন সরদার নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের খালাসিকান্দি এলাকার বারেক সরদারের ছেলে এবং আরিফ মিয়া পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মধ্য লেবুজিল বুনিয়া এলাকার মোস্তফার মিয়ার ছেলে। 

তারা ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে বাল্কহেডের রশি ছিঁড়ে সেটি ডুবে গেলে ওই দুই শ্রমিকও নৌযানের সাথে তলিয়ে যান।

 তিনি আরো জানান, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। দুপুরের দিকে ঢাকার একটি বিশেষ ডুবুরি দলও তাদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। তবে এখনও নিখোঁজ দুই শ্রমিকের বা বাল্কহেডের সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর থেকে নড়িয়ার সুরেশ্বর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। বাঁধটি শক্তিশালী করার জন্য বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে একটি বাল্কহেডে করে এই ব্যাগগুলো মুলফৎগঞ্জ এলাকায় আনা হয়েছিল। বিকালে কিছু জিও ব্যাগ নামানোর পর সেটি একটি নৌযানের সাথে নোঙর করা হয়। কিন্তু রাত ১২টার দিকে বাল্কহেডটি হঠাৎ ডুবে যায়।

শরীয়তপুর পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, নড়িয়া নদীর তীর রক্ষা বাঁধের শক্তিশালীকরণের কাজ চলছে। ওই কাজের জন্য বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নিয়ে আসা হচ্ছিল। তবে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে এবং দু’জন শ্রমিক নিখোঁজ আছেন। আমরা তাদের উদ্ধারে কাজ করছি। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার লিয়াকত হোসেন জানান, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাল্কহেডটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বিশেষ উদ্ধারকারী জাহাজ প্রয়োজন।