বাসস
  ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৯

বরিশাল বিভাগের জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি : বাসস

 মো. এনামুল হক এনা 

বরিশাল, ১৭ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): বরিশালের বিভাগের বিভিন্ন জেলাশহরের মার্কেট গুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।  সেই সাথে জমে উঠেছে  ঈদের কেনাকটা ।এতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন বিক্রেতারা। তবে  দাম নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

আজ সোমবার বরিশালের পার্ক মার্টে ও টপটেনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ও প্রবীণ সদস্যদেরও নিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।

এছাড়া পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলা শহরের মার্কেটগুলোর বিপণী-বিতানগুলোতেও উল্লেখযোগ্য হারে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এসব মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের ভিড়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে দাম কিছুটা বাড়তি বলে  অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতাদের একটি অংশ।

এবারের ঈদে বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় অরগেনজা, মেঘা, চান্দ্রিয়া, জয়পুরী ও পাকিস্তানি সারারা গারারা। এছাড়া, চাহিদা রয়েছে কাতান, বাড়িস, কারচুপি, বালাহার, মটকা ও কাশ্মীর কাতান থ্রি পিসের।

এছাড়া শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে, বি প্লাস খাড্ডি বেনারসি, চেন্নাই সিল্ক, বুটিক, ক্রেসপি, মান্দানি ও জামদানি। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টুপি এবং প্যান্টও বিক্রি হচ্ছে সমহারে। এছাড়া, কসমেটিক্স পণ্যের চাহিদাও কম নয়।

বরিশাল পার্ক মাঠে আসা ক্রেতা সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাচ্চু (৫২) বলেন, ‘দুপুরের পরেই এখানেই এসেছি। পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করেছি। আত্মীয়-স্বজনদের জন্যও কিনেছি। অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছে।

আরেক ক্রেতা নাজমিন জামান মুক্তি বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতেই মূলত টপটেনে আসা। প্রতিবছর টপটেন আর পার্ক মার্ট থেকেই পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা রেখে সবার জন্য কেনাকাটা করতে একটু ক্লান্ত হলেও এতে বিশেষ ধরনের শান্তি রয়েছে।

মার্কেটে আসা ক্রেতা আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমি দুই মেয়ের জন্য ড্রেস কিনেছি। স্ত্রীর জন্য এখনো কিনতে পারিনি।

বিভিন্ন বিপণী-বিতানের মালিকরা বলছেন, ‘প্রায়ই ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। আমরা বেশি দামে পোশাক কিনি তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে পোশাকের কোয়ালিটির উপর দাম অনেকটা নির্ভর করে। কম দামের পোশাকও আছে, বেশি দামেরও আছে।’