শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ন্যায়নিষ্ঠ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের টাকায় চলে। জনগণের সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে হবে। কোন খাতে, কোনভাবে ব্যয় করলে, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো, তা এ সেমিনারে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও প্রশাসন কার কি দায়িত্ব এবং এ দায়িত্ব কিভাবে পালন করলে মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত এসব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করা যায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের চাহিদানুযায়ী কিভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো যায়? তার জন্য রাষ্ট্র কি করতে পারে? এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের ভূমিকা কি? আজকের এই সেমিনারে এসব বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
উপদেষ্টা রফিকুল আবরার বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে এবং ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের গর্বের সঙ্গে মনে রাখতে হবে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ থেকে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভূমিকা ছিল।’
তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ছিল আমরা যে নাগরিক ছিলাম তা ভুলে গিয়েছিলাম। তখন ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা মন খুলে কথা বলতে পারতো না। আমরা সবাই প্রজায় পরিণত হয়েছিলাম। সে পরিস্থিতি থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন সমাজ পেয়েছি। আমাদের দায় ও দরদ থেকে এদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষিতে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা সুযোগ পেয়েছি নতুন চিন্তা করার, ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ গড়ার, যে সমাজের প্রতিটি নাগরিক সমান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশু ও কিশোরদের মুক্ত বিহঙ্গের মতো বাধাহীনভাবে উড়তে দিতে হবে, যেন তারা মুক্ত মনে তাদের মতো করে তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।’
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী ও মাদ্রাসা দারুর রাশাদের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।