শিরোনাম
পটেয়াখালী, ২০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ দুমকি কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার বাকি অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হলরুমে কলেজছাত্রী অপহরণ ও গণধর্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের সাথে জড়িত দুই অভিযুক্তের নাম আমরা জানতে পেরেছি। একজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কেবল দুমকির ঘটনা নয়, অন্যান্য ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদেরও শিগগিরই গ্রেপ্তার করতে হবে। সরকারের উচিত এই বিষয়ে বিদ্যমান আইনগুলো অবিলম্বে সংশোধন করা, যা তারা ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ড. তাসনিম জারা বলেন, অপরাধীরা বারবার অপরাধ করার পর সমাজে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে এবং নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা দ্বারে দ্বারে বিচার চাইবে, এটা আর মেনে নেওয়া যায় না। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং দুমকি ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
‘আমি একজন মেয়ে হিসেবে নয়, আমি এই দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ন্যায়বিচার চাই’-ভুক্তভোগী তাকে এমন কথা বলেছেন দাবি করেন তাসনিম জারা।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, তার সংগঠন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে মেয়েটির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং আইনি সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ এনসিপির আহ্বায়কের সাথে ছিলেন।
অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে হাসান মামুনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিকেল ৩ টার দিকে পটুয়াখালীতে আসেন এবং ভুক্তভোগীকে দেখতে হাসপাতালে যায়।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ জসিম হাওলাদারের মেয়ে সরকারি জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ঐ ছাত্রী গত ১৮ মার্চ দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের একটি জঙ্গলে গণধর্ষণের শিকার হন।
ভুক্তভোগী তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন সাকিব মুন্সি (১৯), সিফাত মুন্সি (২০) এবং ইমরান মুন্সি (১৯)। পরে পুলিশ এলাকা থেকে সাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে’ চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্যান্য সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।