বাসস
  ২৬ মার্চ ২০২৫, ১৯:২০

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে সুষম বিকশিত রাষ্ট্র গড়া সম্ভব নয় : বিধান রঞ্জন রায়

ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দু’টিকে উপেক্ষা করে একটি সুষম বিকশিত রাষ্ট্র গড়া কখনোই সম্ভব নয়।

বুধবার ঢাকায় মিরপুরস্থ প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

বিধান রঞ্জন বলেন, স্বাস্থ্য এমন একটি প্রসঙ্গ যে, এটা কখনো আমার পছন্দের প্রসঙ্গ হতে পারে না। এটা অধিকারের বিষয় হওয়া উচিত। তেমনি শিক্ষাও এমন একটি প্রসঙ্গ যেটা সার্বজনীন এবং এটা অধিকারের প্রসঙ্গ হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলোর স্বীকৃতি আমাদের সংবিধানে রয়েছে। সুতরাং এগুলো আমাদের কার্যকর করতে হবে। 

তিনি বলেন, সত্যিই যদি আমরা আমাদের দেশকে একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। 

চীনের উদাহরণ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশটির বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি অংশ অর্থনীতিতে এতো উন্নয়ন করছে, সেটার পেছনে দু’টি বিষয়কে তারা গুরুত্ব দিয়েছে। একটি হলো শিক্ষা অন্যটি হলো মানুষের স্বাস্থ্য। এই দু’টি বিষয় শুধুমাত্র একটি গোষ্ঠীর না। এই দু’টো  রাষ্ট্রের ও জনগণই সম্পদ। জনগণ মানে কি? সে ফিজিক্যালি ফিট এবং শিক্ষিত। 

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুটিকে অ্যাড্রেস না করে কখনোই একটি সুষম বিকশিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারবনা।’ শিশুকে স্বাক্ষর করে তোলা প্রকৃত অর্থে তাকে সক্ষম করে তোলা। তাহলে এক ধরনের সোশ্যাল মবিলিটি হবে। এটা ঠিক, তবে বেশির ভাগ সময় হয়তো সে নিজে যেটা বুঝবে, কিন্তু যখন তার পথ অবরুদ্ধ হবে, ভুল পথে যাবে,তখনই সে নিজের উন্নয়ন  করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন,  বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) আতিকুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর আবু বকর সিদ্দিক।