শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এসব আয়োজন করে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহর ও প্রায় সবকটি জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ দিনব্যাপি সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। মহান এই দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার,পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র,ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র সমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ভবন, প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
ঢাকা বিভাগের গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ,মুন্সিগঞ্জ , মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ি জেলায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সীগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও শহিদ স্মৃতি বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুচকাওয়াজ এবং ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলে ৩১ বার তোপ-ধ্বনি, ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি, কুচকাওয়াজসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি পালিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও জেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে গোপালগঞ্জে দিবসটির সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৭১-এর বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি সম্মান জানান জেলা প্রশাসক। দিনটি উপলক্ষ্যে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা এবং শহরের দৃশ্যমান ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রাজশাহীতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে আলোচনা অনুষ্ঠান, মার্চপাস্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া , সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
জয়পুরহাটে আজ ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। তোপ-ধ্বনি শেষে শহরের শহিদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান। সকাল ৯টায় সার্কিট হাউজ মাঠে মার্চপাস্ট ও কুচকাওয়াজ শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। নওগাঁ জেলা প্রশাসন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উপহার দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
নাটোর শহরের স্বাধীনতা চত্বরে ৩১ বার তোপ-ধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্বাধীনতা চত্বরে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল দশটায় প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
সিরাজগঞ্জে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয়। সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিজয় সৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জেলা প্রশাসন একাদশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক ও পৌর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও উন্মুক্ত স্থানে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ সকাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে যায় শহিদ মিনারের বেদি।
এছাড়াও সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
হবিগঞ্জে আজ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা করা হয়। দুর্জয় হবিগঞ্জ স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি প্রথমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক। পরে সরকারের বিভিন্ন দফতর প্রধান, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৯টায় হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সুনামগঞ্জ জেলা কালেক্টরেট চত্বরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯ টায় সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর পাহাড়তলীস্থ উত্তর কাট্টলীস্থ ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ভোর থেকেই দলে দলে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও বান্দরবান জেলায় নানা আনুষ্ঠানিকতায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, রেঞ্জ পুলিশ, জেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষও।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মাননা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে রচনা,কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
শেরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার মিনি স্টেডিয়াম মাঠে ১৪৪ জন বীর মুক্তিযােদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযােদ্ধা, শহিদ মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বীর শহিদদের স্মরণে ও শ্রদ্ধা নিবেদন, আলােচনা, কুচকাওয়াজ, রচনা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযােগিতাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ সবকটি জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী জেলায় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
খুলনা বিভাগে খুলনা জেলাসহ যশোর, সাতক্ষীরা জেলা, মেহেরপুর, নড়াইল,চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা,বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ঝিনাইদহে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোর ৬ টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মাগুরায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ নানা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মাগুরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ৩১ বার তোপ-ধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কুষ্টিয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন জেলার বধ্যভূমিগুলোতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দফতর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।