বাসস
  ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:১৪

শেষ মুহূর্তে বাড়ির পথে ঘরমুখো মানুষ, নেই যানজট 

উত্তরবঙ্গে ঈদ যাত্রায় এবার নেমে এসেছে স্বস্তি। ছবি: বাসস

টাঙ্গাইল, ২৯ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে মানুষের এই যাত্রা চিরকালীন। প্রতিবছরের মতো এবছরও ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কে নেই যানজট। স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন। তবে প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে মরীচিকা তৈরি হওয়ায় যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ।

জানা যায়, যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা৷

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস ও লেগুনায় যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও  মোটরসাইকেলই বেশি দেখা গেছে। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।

যাত্রী পরিবহণ করছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। গণপরিবহণ সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে করে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন।

রুহুল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বাড়ি যেতে আমাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম ভালো ভাবেই আসলাম। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে। তবে পরিবহণ সংকটের জন্য অনেকেই ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি যাচ্ছেন।’

হৃদয় নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি বগুড়া যাবো। ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম কোন যানজট পাইনি। স্বস্তিতেই বাড়ি যাচ্ছি।’

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। 

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল আজ শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বছর ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এছাড়া দুই পাশেই মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা ২টি করে বুথ রয়েছে। এতে নির্বিঘ্নে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ১৬৩ টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। 

জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে সাড়ে ৭’শ পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত আছেন। জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে।