শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ, ২৯ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবারও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি। কিশোরগঞ্জবাসীর ধারণা ফ্যাসিবাদের দোসর ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ইমামতিতে না থাকায় সবচেয়ে বেশি মুসল্লির সমাগম ঘটবে এবারের ঈদের জামাতে।
ঈদের দিন সকাল ১০টায় এ ময়দানে শুরু হবে ঈদুল ফিতরের জামাত। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও জামাতে ইমামতি করবেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ইমামতি হারানো ইমাম কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন হয়বতনগর এ. ইউ. কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে জামাতে টুপি, জায়নামাজ এবং মোবাইল ফোন ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নাইমুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী আজ শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সর্বশেষ অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, ঈদের দিন সকাল ১০টায় ঈদুল ফিতরের ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবারের ঈদের জামাতে টুপি, জায়নামাজ এবং মোবাইল ফোন ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা।
তিনি জানান, আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছাতা নিয়েও মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের পর থেকে আমরা এই ঈদগাহ ময়দানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। এবার আগের চেয়েও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এগারো’শ পুলিশ সদস্য পুলিশি পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরো জানান, বিশেষ নিরাপত্তার জন্য বিল্ডিংয়ের ছাদে স্পেশাল রুফটপের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসবেন পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হবে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে আসতে হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে র্যাব ব্যবহার করবে দুটি আর চারটি ব্যবহার করবে পুলিশ। মাঠে চারটি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। থাকবে বাইনোকুলারসহ ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা। এছাড়াও পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।